‘যেখানেই এডিস মশার লার্ভা সেখানেই জরিমানা’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘যেখানেই এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাবে, সেখানেই জরিমানা করা হবে। এই জরিমানা থেকে আমিও মুক্ত নই।’
ঢাকা উত্তর সিটি এলাকায় এডিস মশা প্রতিরোধে চিরুনি অভিযান শুরু করতে গিয়ে মেয়র এ কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার গুলশানের শহীদ ডা. ফজলে রাব্বী পার্ক থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে এডিস মশা নিধনে চিরুনি অভিযানের উদ্বোধন করা হয়।
ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। ১৯ নম্বর ওয়ার্ড (গুলশান-বনানী এলাকা) থেকে এ অভিযানের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়। এই ওয়ার্ডকে ১০টি ব্লকে ভাগ করে প্রতিটি ব্লককে ১০টি সাব-ব্লকে ভাগ করা হয়। ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে আজ ১ নম্বর ব্লকের ১০টি সাব-ব্লকে ১০টি উপদলে বিভক্ত হয়ে এ অভিযান সম্পন্ন করবে। এভাবে আগামী ১০ দিনে এ ওয়ার্ডে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান সম্পন্ন হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন, ‘পরিচ্ছন্ন হলেই আলোকিত মানুষ হওয়া যায়। অপরিচ্ছন্ন মানুষ আলোকিত মানুষ হতে পারে না। আমাদের মধ্যে নোংরামির অভ্যাস আছে। খুব অল্প কয়েকজনকে বাদ দিলে আমাদের কারো বাড়িঘর পরিপাটি না। আমাদের সমাজেই একটা বিশৃঙ্খলা আছে। এসব থেকে নিস্তার পেতে হলে আশপাশের সবকিছু আমাদেরই পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।’
এ সময় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা বাসা-বাড়িতে গিয়ে এডিস মশার লার্ভা পেলে তাকে সতর্ক করব। ‘সাবধান! এ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে’ লেখা স্টিকার লাগিয়ে দেব। আমাদের বিশ্বাস এর পর তারা নিজেদের শুধরে নেবে। যদি শুধরে না নেয়, তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
উদ্বোধন শেষে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে নিয়ে ডিএনসিসির মেয়র শহীদ ডা. ফজলে রাব্বী পার্কের কাছের গুলশান ১ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়িতে যান। সেখানে ছাদে পরিত্যক্ত একটি কমোডের ফ্লাশে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। পরে ভবনের মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে বিনাশ্রম ৩০ দিনের কারাদণ্ড দেন। পরে মেয়র এবং অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বাড়ির সামনে একটি স্টিকার লাগিয়ে দেন।