মানিকগঞ্জে শিশুকে হত্যার অভিযোগ, সৎ মা গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় ইয়াসিন হোসেন নামের সাত বছরের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ছোট বাহাদুরপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্বজনদের অভিযোগ, শিশুটিকে হত্যার পর লাশ পুকুরের পানিতে ফেলা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির সৎ মা নার্গিস আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শিশু ইয়াসিন উপজেলার চালা ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের হুমায়ুন আহমেদের ছেলে। সে কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে পড়ত।
পুলিশ, স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর বয়সে ইয়াসিনের মা স্বামী ও সন্তানকে রেখে অন্যত্র বিয়ে করেন। এর কয়েক মাস পর হুমায়ুন দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান হয়। সোমবার দুপুরে বাবার সঙ্গে ইয়াসিন ছোট বাহাদুরপুর গ্রামে সৎ নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। ওই দিন সন্ধ্যার পর থেকে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছিল না।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে শিশু ইয়াসিনের লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় শিশুর দাদি রুবিয়া বেগম বাদী হয়ে শিশুটির সৎ মা নার্গিস আক্তারসহ অজ্ঞাত আরো দুই-তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
রুবিয়া বেগম অভিযোগ করেন, নার্গিসের দুটি সন্তান রয়েছে। এ কারণে ‘পথের কাঁটা’ ভেবে নার্গিস পরিকল্পিতভাবে ইয়াসিনকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেন।
পুলিশ হেফাজতে থাকায় অভিযোগের বিষয়ে নার্গিসের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান জানান, শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলা দেওয়া হয়েছে।
ওসি আমিনুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় শিশুটি সৎ মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।