তাদের টার্গেট নতুন প্রাইভেটকার!

Looks like you've blocked notifications!

প্রথমে নতুন প্রাইভেটকার দেখে অপহরণের চিন্তা শুরু। এরপর গাড়িটি ভাড়া নিয়ে সুকৌশলে ঢাকা থেকে পরিকল্পিত এলাকায় নিয়ে যাওয়া। চালক কিংবা মালিককে নির্যাতন করে তাঁর পরিবারকে মুঠোফোনে শোনানো হয়। মুক্তিপণ দাবি করে দেওয়া হয় হত্যার হুমকি। এভাবেই তিন বছর ধরে অপহরণ চালিয়ে আসছে চক্রটি।

আজ শুক্রবার ভোরে মাদারীপুরের শিবচর এলাকার একটি কাশবন থেকে অপহরণকারী চক্রের হাত থেকে মো. এনায়েত উল্লাহকে (৩২) উদ্ধার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-৪)। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে চারজনকে। সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।

মো. মোজাম্মেল হক বলেন, রাজধানীর রূপনগর এলাকার শিয়ালবাড়ির মোড় থেকে গত ১৯ আগস্ট সন্ধ্যায় যাত্রীবেশে দুজন ব্যক্তি মো. এনায়েত উল্লাহর প্রাইভেটকার ভাড়া নেন। পরে পদ্মা নদী পার হয়ে রাত ২টার দিকে কাঁঠালবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে অপহরণকারী চক্রের আরো তিন সদস্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেজে তল্লাশির নামে প্রাইভেটকারটি থামতে সংকেত দেন।’

সংকেত পেয়ে প্রাইভেটকারটির থামান চালক এনায়েত। পরে অপহরণকারীরা গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং চালককে অপহরণ করে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া চর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি কাশবনের পাশে ছোট ঘরে তাঁকে আটকে রেখে টানা চার দিন হাত-মুখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় কাছে থাকা ৭০ হাজার টাকা।

মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এ ছাড়া তাঁকে নির্যাতনের শব্দও এনায়েতের পরিবারকে শোনানো হয়। মুক্তিপণ বাবদ চাওয়া হয় ১০ লাখ টাকা। এর ভেতরে এনায়েতের ভাই মো. কেফায়েত উল্লাহ রূপনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য র‍্যাব-৪ বরাবর একটি চিঠি দেন।

‘২০ আগস্ট থেকে টানা ৫২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে মাদারীপুরের শিবচর থেকে এনায়েতকে উদ্ধার এবং চারজনকে আটক করা হয়। আটকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আটরশি জাকের মঞ্জিলের পার্ক থেকে উদ্ধার করা হয় প্রাইভেটকারটি,’ যোগ করেন র‍্যাব কর্মকর্তা।

র‍্যাব অধিনায়ক আরো বলেন, ‘আটকরা তাদের অপহরণের কৌশল বর্ণনা করেন আমাদের কাছে। সঙ্গে চক্রটির আরো ছয়জনের নাম বলেন। তাঁরা হলেন নয়ন তারা (২৩), সজীব (২২), রেজাউল (২৮), রবমিয়া (২৪), কামরুল (২৫) ও মেহেদী হাসান (২৩)। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে সাতটি দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।