‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যকরে আরো শক্ত হবে বাংলাদেশ’

Looks like you've blocked notifications!
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ছবি : এনটিভি

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যকরে আরো শক্ত হবে বাংলাদেশ—এ কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘এ নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ।’ তিনি আরো বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যা করণীয়, বাংলাদেশ তা করেছে। এখন এ দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের।’ আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর সময়সীমা নির্ধারিত থাকলেও আবারও তা ভেস্তে যায় তালিকায় থাকা রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যে ফিরে যেতে রাজি না হওয়ায়। এর ফলে আবারও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। বারবার চেষ্টা করেও রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে ব্যর্থ হওয়ায় এখন কী করবে বাংলাদেশ, সাংবাদিকরা জানতে চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের কাছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটু শক্ত হব। চিন্তাভাবনা করছি ইন্টারন্যাশনাল কমিশন জোগাড় করব, যারা রাখাইনে, নট ইন বাংলাদেশ, ইউএনএইচসিআর, আইওএম তাদেরও আমরা বলছি যে তোমরা আমাদের এখানে থেকে লাভ নেই। তোমরা বরং রাখাইনে যাও। মিয়ানমারে যাও। ওদের (রোহিঙ্গা) জন্য পরিবেশ তৈরি করো।’

এর আগে শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘১৫ আগস্ট ও বাংলাদেশের প্রভাব' শীর্ষক আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর আগেই দুই খুনি নূর চৌধুরী ও রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব দেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালু আছে, সেসব দেশের মৃত্যুদণ্ড পাওয়া নাগরিকদের কানাডা ফেরত দেয় না। তারপরও নূর চৌধুরীকে ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া রাশেদ চৌধুরীর বিষয়ে মার্কিন সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। যদিও আরেক খুনি মহিউদ্দিন আহমেদকে তারা ফেরত পাঠিয়েছিল। রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পেতে আমরা চিঠি দিয়েছি। আমরা আশাবাদী, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর আগেই এই খুনিদের দেশে আনতে পারব।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে থাকত।’