ডেঙ্গু প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, ‘অভিজ্ঞতার অভাব ছিল’
এডিস মশার বিরুদ্ধে সরকারের অভিজ্ঞতা ছিল না জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘এবারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে এই সংকটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে পারবে সরকার।’ তিনি বলেন, ‘অভিজ্ঞতার অভাব ছিলই এ কথা অস্বীকার করা যায় না।’
আজ বৃহস্পতিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রনে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছে।’ পুরোপুরি সফল না হলেও সচেতনতা সৃষ্টি করতে সরকার সফল হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘অভিজ্ঞতার অভাব ছিলই এ কথা অস্বীকার করা যায় না। অভিজ্ঞতা বলতে এরকম প্রেডিক্ট করা যায়নি। এরকম পূর্বাভাস কারো কাছে ছিল না। এটা আমার মনে হয় সবাইকে একটা অভিজ্ঞতা দিয়েছে। বৈশ্বিকভাবে এটা নিয়ে কাজ হচ্ছে। আমরাও আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়।’ সর্বসাধারণের সচেতনতার মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলা করার আহবান জানান তিনি।
‘শুধু সরকারি প্রচেষ্টা নয় জনসচেতনতাই পারে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করে’ এই বক্তব্যের পক্ষে বিপক্ষে অংশ নেয় রাজধানীর দুটি বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের ব্যর্থতা ও সফলতা উঠে আছে দুইপক্ষের প্রতিযোগীদের বক্তব্যে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।