পদ্মায় লঞ্চডুবির কারণ খতিয়ে দেখতে গণশুনানি
পদ্মায় লঞ্চডুবির প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে গণশুনানি করেছে।
আজ শনিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা আলাদাভাবে এই শুনানি করেন। দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই গণশুনানি চলে।
মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি পাটুরিয়া ঘাটে জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম মোহনায় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নূর উর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গণশুনানি করেন পুলিশ কন্ট্রোল রুমে।
শুনানিতে দুর্ঘটনাকবলিত ‘এমভি মোস্তফা’র বেঁচে যাওয়া যাত্রী, উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া দমকল বাহিনীর সদস্য, লঞ্চমালিক, ঘাটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বক্তব্য নেওয়া হয়। ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা দেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরে তদন্ত কমিটির সদস্যরা দুর্ঘটনাস্থল ও উদ্ধার হওয়া ‘এমভি মোস্তফা’ পরিদর্শন করেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রধান যুগ্ম সচিব নুরু-উর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পরদিনই তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গণশুনানিতে বেঁচে যাওয়া চার যাত্রী, উদ্ধারকর্মী, লঞ্চমালিক ও সুকানির বক্তব্য নেওয়া হয়েছে।
১০ কার্যদিবসের মধ্যে এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে উল্লেখ করে যুগ্ম সচিব জানান, প্রতিবেদন দাখিলের আগ পর্যন্ত কেউ যদি বক্তব্য দিতে চান, তবে তাঁদের বক্তব্যও নেওয়া হবে।
গত রোববার পাটুরিয়া ঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমভি মোস্তফা’। ওই দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৮০টি মরদেহ উদ্ধার হলেও প্রশাসনের হিসাবেই এখনো নিখোঁজ রয়েছেন চার যাত্রী।
দুর্ঘটনায় নিহত ৮০ জনের মধ্যে ৩৪ পরিবারকে ২০ হাজার টাকা, ৩২ পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জনের পরিবার এখনো কোনো টাকা পায়নি। আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা এক নারীর মৃতদেহ এখনো শনাক্ত করা যায়নি।