আল্লামা ফারুকী হত্যার বিচার দাবিতে ভৈরবে বিক্ষোভ

Looks like you've blocked notifications!
আল্লামা নূরুল ইসলাম ফারুকীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে আজ রোববার কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়। ছবি : এনটিভি

জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক, ইসলামী চিন্তাবিদ ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল ইসলাম ফারুকীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কিশোরগঞ্জ জেলা ও ভৈরব উপজেলা শাখা আজ রোববার এই কর্মসূচি পালন করে।

ইসলামী ফ্রন্টের নেতাকর্মীরা আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভৈরব নাটালমোড় এলাকায় জড়ো হন। এরপর বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসার ইমাম-মুয়াজ্জিন ও শিক্ষকদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। ভৈরবের দুর্জয় চত্বরে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিল থেকে ফারুকী হত্যায় নিন্দাসহ দোষীদের গ্রেপ্তার করে অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।

এরপর সেখানে মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পীরে তরিকত আল্লামা মুফতি রেজাউল মোস্তফা আল কাদরি। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ আল্লামা হারুনুর রশীদ রেজভী।

প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা আবু সুফিয়ান খান আবেদী আল কাদরি। বিশেষ অতিথি ছিলেন দেশবরেণ্য বক্তা ও দাওয়াতে ঈমানি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আল্লামা পীর মুফতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত-ত্বাহেরী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ভৈরব উপজেলা শাখার সভাপতি খন্দকার শাহ মো. দ্বীন ইসলাম পীর সাহেব, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দ্বীন ইসলাম ভূঁইয়া, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক হাজি মুহাম্মদ রুবেল হোসেন প্রমুখ।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা অবিলম্বে আল্লামা নূরুল ইসলাম ফারুকী হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।

নেতারা অভিযোগ করে বলেন, মর্মান্তিক এই হত্যার ঘটনায় দীর্ঘ পাঁচ বছর পার হলেও মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা না হলে পরবর্তী সময়ে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিতে বাধ্য হব।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা শেষে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বঙ্গবন্ধু সরণির মুক্তিযোদ্ধা চত্বর সংলগ্ন চাঁনভাণ্ডারে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে শহীদ আল্লামা ফারুকীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।