রাজধানীতে চাকরির জন্য ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ
চাকরি দেওয়ার নামে রাজধানীর শ্যামলীর একটি অফিসে ডেকে ২০ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে শেরে বাংলানগর থানায় ধর্ষণের একটি মামলা করেছেন ওই তরুণী।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সি। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি গত মঙ্গলবার বিকেলের। রাজধানীর শ্যামলীর ৩ নম্বর রোডের ৩৫/১/বি ভবনের পঞ্চম তলায় হেলথ ভিশন নামের একটি অফিসে এই ঘটনা ঘটে।
জানে আলম মুন্সি বলেন, ‘ওই তরুণী বাদী হয়ে নিজেই ধর্ষণের মামলাটি দায়ের করেছেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, চাকরি দেওয়ার নামে ডেকে ফাহিম আহমেদ ফয়েজ (৩০) ও নাহিদ পাটোয়ারী (৩২) নামের দুজন ধর্ষণ তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছেন।’
জানে আলম মুন্সি বলেন, ‘গতকাল বুধবার রাতে আমাদের কাছে তরুণী মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। পরে বুধবার রাতেই আমরা ওই অফিসে অভিযান চালাই। অভিযান চালিয়ে ফাহিম আহমেদ ফয়েজকে গ্রেপ্তার করি।’
জানে আলম মুন্সি বলেন, ‘ফাহিম আহমেদ ফয়েজকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর হলে এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না, তা আমরা জানতে পারব। এ ছাড়া নাহিদ পাটোয়ারীকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি আমরা। আশা করছি দ্রুতই তাকে ধরতে পারব।’
ওসি আরো বলেন, ‘ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হতে শ্যামলীর ৩ নম্বর রোডের ৩৫/১/বি ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ধর্ষণের আলামত পরীক্ষা করতে ভুক্তভোগী ওই তরুণীকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নাহিদ পাটোয়ারির সঙ্গে এক বছর ধরে ফেসবুকে পরিচয় ওই তরুণীর। গত মঙ্গলবার দুপুর ২টার সময় নাহিদ তরুণীর মুঠোফোনে কল করে চাকরির দেওয়ার কথা বলে ডাকেন। তরুণী শ্যামলী পৌঁছালে নাহিদ তাঁকে রিসিভ করে শ্যামলীর ৩ নং সড়কের ৩৫/১/বি ভবনের ৫তম তলায় হেলথ ভিশন নামের এক অফিসে নিয়ে যান। পরে তরুণীকে একটি চেয়ারে বসতে দেওয়া হয়।
এজাহার সূত্রে আরো জানা যায়, চেয়ারে বসানোর পর প্রাথমিকভাবে চাকরি নিয়ে কিছু প্রশ্ন করা হয় তরুণীকে। এরপর তরুণীকে সিগারেট ও ওয়াইন খেতে বলা হয়। কিন্তু তরুণী তাতে অস্বীকৃতি জানান। পরে কৌশলে তরুণীকে কোকাকোলার সঙ্গে রেড ওয়াইন মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। এতে তরুণী জ্ঞান হারান। পরে অজ্ঞান অবস্থায় ফাহিম আহমেদ ফয়েজ ও নাহিদ পাটোয়ারী তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর ধর্ষকদের হাতে পায়ে ধরে বাসায় ফেরেন ওই চাকরিপ্রত্যাশী তরুণী।