হুদার বিএনপিকে ধন্যবাদ জানালেন তথ্যমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পাশে ছিলেন তৃণমূল বিএনপির নেতা নাজমুল হুদা। ছবি : ফোকাস বাংলা

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আশা করি তৃণমূল বিএনপির কাছ থেকে বিএনপি কিছু শিখবে।’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী পালন করায় ‘তৃণমূল বিএনপি’কে ধন্যবাদ জানান তথ্যমন্ত্রী।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ওই আলোচনাসভার আয়োজন করে তৃণমূল বিএনপি। আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন তৃণমূল বিএনপির সভাপতি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তথ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই তথ্য দেওয়া হয়।

আলোচনাসভায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী কর্নেল ফারুক-রশিদ টেলিভিশন চ্যানেলের সাথে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, জিয়াউর রহমান তখন উপপ্রধান সেনাপতি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে জিয়াউর রহমানের কাছে গেলে তিনি বলেন, তোমরা করো, আমি সিনিয়র অফিসার হিসেবে সামনা-সামনি থাকতে পারি না। আবার বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর সেনাবাহিনী অফিসাররা জিয়াউর রহমানের কাছে গেলে তিনি তাদের বলেন, ‘সো হোয়াট! ভাইস প্রেসিডেন্ট ইজ দেয়ার!’ রাষ্ট্রের উপপ্রধান সেনাপতির দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রপতিকে হত্যার করার পরিকল্পনা যখন তিনি অবগত হন সেটি দ্রুতগতিতে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা। সেটি তিনি করেননি এবং রাষ্ট্রপতি নিহত হয়েছেন, সেটিও দ্রুত ঊর্ধ্বতনদের জানানো এবং যারা এ অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যা তিনি করেননি। এতেই প্রমাণিত হয় জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের কুশীলব।’

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের বিচার হয়নি, তা করা এবং সেজন্য একটি কমিশন গঠন করা। আইনমন্ত্রী ইতিমধ্যেই বলেছেন, কমিশন হবে।’

টিআইবির প্রকাশিত প্রতিবেদনের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল টিআইবি দশম সংসদের কার্যক্রমের ওপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যে তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে তা করা হয়েছে সেখানে অনেক ভুল রয়েছে। এই রিপোর্টটি একপেশে এবং উদ্দেশ্যমূলক। আমরা অতীতেও দেখেছি, পদ্মা সেতু নিয়ে যখন অমূলক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তখন টিআইবি বিশ্বব্যাংকের চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে। অথচ বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টই ভ্রান্ত  প্রমাণিত হয়েছে। প্রমাণিত হয়েছে, সে অভিযোগের কোনো সত্যতা নাই। এরপর টিআইবির উচিত ছিল জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।’

টিআইবির অন্যান্য রিপোর্টের উদাহরণ টেনে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০১০ সালে সুন্দরবনে অনিয়ম নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। কেউ যদি তাদের রিপোর্টের প্রাথমিক বিষয়গুলো পড়ে, মনে হবে অনিয়মগুলো ২০১০ কি ২০০৯ সালে হয়েছিল। কিন্তু আসলে অনিয়মগুলো ২০০৭ এবং ২০০৮-এ ঘটা, যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল না, ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তারা যে কয়েক বছর পুরোনো রিপোর্ট করছে, তাদের উচিত ছিল প্রথমেই সেটি পরিষ্কার করা।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি টিআইবিকে অনুরোধ জানাব, সঠিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে তারা যেন রিপোর্ট তৈরি করে এবং গণতান্ত্রিক দেশকে এভাবে অমূলক প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা না করতে, কারণ এটি গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক নয়।’