‘সম্পর্ক মানেনি পরিবার’, এক রশিতে ‘ঝুলল’ কিশোর-কিশোরী

Looks like you've blocked notifications!

নওগাঁর পত্মীতলা উপজেলায় একই রশিতে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় কিশোর-কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের গোপীনগর গ্রামের ঈদগাহ মাঠ এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলো উপজেলার গোপীনগর গ্রামের সুধীর হেমব্রমের ছেলে জয় হেমব্রম (১৬) ও ফ্রান্সিস মুর্মুর মেয়ে কাজলী মুর্মু (১৮)। কাজলী মুর্মু নজিপুর মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণি এবং জয় হেমব্রম নজিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, আজ সকাল ১০টার দিকে গোপীনগর গ্রামের ঈদগাহ মাঠ এলাকার একটি আম গাছের সঙ্গে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই কিশোর-কিশোরীর লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে সকাল ১১টার দিকে পত্মীতলা থানা পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

পত্মীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল চন্দ্র জানান, কাজলী ও জয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে। পরিবার থেকে তাদের এই সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় তারা আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওসি পরিমল চন্দ্র আরো জানান, লাশ দুটির গলা ছাড়া শরীরের আর কোনো জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে, এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তা দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করা হবে বলেও জানান ওসি।

তবে নিহতদের স্বজনদের দাবি, জয় ও কাজলীর মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি না, সে সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না।

জয় হেমব্রমের বাবা সুধীর হেমব্রম বলেন, ‘গ্রামের লোকজন এবং জয় ও কাজলীর সহপাঠীরা বলছে, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অনেকে বলছে, তাদের মধ্যকার প্রেমের সম্পর্ক পরিবারের লোকজন মেনে না নেওয়ায় তারা নাকি আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু বিষয়টি বাড়িতে জানায়নি জয়। তারা আত্মহত্যা করেছে নাকি তাদের হত্যা করা হয়েছে, তা তদন্ত করে বের করা হোক।’

এ ঘটনায় সুধীর হেমব্রম বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।