‘জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে বিএনপি’

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় বিএনপির শীর্ষনেতারা। ছবি : ফোকাস বাংলা

সরকার বিরোধী অন্যান্য দলকে ঐক্যবদ্ধ করে বর্তমান সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকের আলোচনায় তিনি বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দলকে সুসংগঠিত করে আন্দোলনে নামবেন তাঁরা।

আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার কারণে বিএনপির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল দাবি করে আলোচনা সভায় বিএনপি নেতারা বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক শূন্যতা চলছে। বিএনপি কিছুটা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তবে তা সাময়িক এমন মন্তব্য করে তাঁরা বলেন, ‘জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে দল।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি জনগণের দল। মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার দল।’ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো ভুলে গিয়ে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করি। অতি অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের দল সম্পূর্ণভাবে সংগঠিত হবে। অন্যান্য রাজনৈতিক দল যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘ধৈর্য ধরতে হবে। কিন্তু এ সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। তাতে কোনো সন্দেহ নেই। যে শূন্যতা তারা সৃষ্টি করেছে এ শূন্যতা ভয়ঙ্কর। এ শূন্যতার মাসুল এ দলকেই (আওয়ামী লীগ) একদিন দিতে হবে।’

নিজেদের ব্যর্থতার দায় সরকার বিএনপির ওপর চাপাচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির নেতারা বলেন, ‘সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতায় রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হচ্ছে না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারছে না। দুই দুইবার প্রত্যাবাসনে তারিখ দিয়েও তারা একজনকেও ফেরত দিতে পারেনি। সরকার এ ইস্যুতে একা হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কোনো জায়গা থেকে তারা সমর্থন পাচ্ছে না।’

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের নেতারাও।