যশোরে পুলিশ ও সোর্সের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ
যশোরে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) ও তার সোর্সের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে (৩০) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের পরীক্ষা করানোর জন্য তিনি নিজেই মঙ্গলবার যশোর জেনারেল হাসপাতালে গেলে বিষয়টি প্রকাশ পায়। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শার্শা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। শার্শা উপজেলার গোড়পাড়া পুলিশ তদন্ত ক্যাম্পের এসআই খাইরুল ও তাঁর সোর্স কামারুলের বিরুদ্ধে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালে ওই গৃহবধূ মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, এক সময় তাঁর স্বামী চোরাচালানিদের পণ্য বহন করতেন। কিন্তু এখন তিনি কৃষিকাজ করেন। সোমবার দিবাগত রাতে এসআই খাইরুল, সোর্স কামারুল এবং গ্রামের লতিফ ও কাদের নামের চারজন তাঁদের বাড়ির সামনে এসে তাঁর স্বামীকে ডাকাডাকি শুরু করেন। গভীর রাত হওয়ায় তিনি দরজা খুলতে না চাইলে তারা জানান যে, তাঁর স্বামীর মামলার ব্যাপারে তাঁরা কথা বলতে এসেছেন। এ কথা শুনে তিনি দরজা খুললে দারোগা খায়রুল বলেন, ৫০ হাজার টাকা দিলে তাঁরা তাঁর স্বামীর মামলা হালকা করে দেবেন।
ওই গৃহবধূ বলেন, এ বিষয়ে কথা বলার একপর্যায়ে তাঁদে সঙ্গে তাঁর তর্কাতর্কি হয়। এর একপর্যায়ে খাইরুল ও কামারুল তাঁকে ঘরের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে চলে যান। পরে এলাকার লোকজনকে বিষয়টি জানালে তাঁরা মামলা করার এবং হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। সে কারণে তিনি হাসপাতালে চলে যান।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আরিফ আহম্মেদ জানান, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই গৃহবধূ জরুরি বিভাগে আসেন। সেখান থেকে তাঁকে জানানো হয়, পুলিশের মাধ্যমে না এলে এ ধরনের পরীক্ষা করানো সম্ভব না। তখন ওই নারী বিষয়টি পুলিশকে জানালে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান তাঁকে পুলিশ সুপারের কাছে নিয়ে যান।
পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, অভিযোগটি গুরুতর। ওই নারীকে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা প্রমাণিত হলে তার জন্য দায়ী পুলিশ হোক বা যেই হোক, কেউই ছাড় পাবে না।