ঘর থেকে মা ও শিশুর লাশ উদ্ধার

Looks like you've blocked notifications!
পাবনা সদর উপজেলার কুলুনিয়া গাংপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে আজ সোমবার এক শিশু ও তাঁর মায়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ নিহত গৃহবধূর শাশুড়িকে আটক করেছে। ছবি : এনটিভি

পাবনা সদর উপজেলার কুলুনিয়া গাংপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে আজ সোমবার ১০ মাসের এক ছেলে ও তার মায়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে নিহত পলি খাতুনের স্বামী জালাল পলাতক।  পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পলির শাশুড়ি নাজমাকে আটক করেছে।

নাজমার দাবি, ছেলেকে হত্যার পর পলি আত্মহত্যা করেছে। তবে নিহত পলির স্বজনদের অভিযোগ, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, পাবনা সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের কুলুনিয়া গাংপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের সঙ্গে তিন বছর আগে খালাতো বোন পলি খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল।

নিহত পলির শাশুড়ি নাজমা খাতুন জানান, তাঁর ছেলে জালাল দোগাছী বাজারে একটি সেলুনে কাজ করে। আজ বেলা ১১টার দিকে জালাল বাড়িতে খাওয়ার জন্য এসে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পায়। অনেক ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে স্ত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ ও বিছানায় ১০ মাসের শিশু ছেলে জুবায়েরকে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুন্সি আবু কুদ্দুস জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মা-ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

মুন্সি আবু কুদ্দুস আরো জানান, এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী জালাল উদ্দিন পলাতক রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পলি খাতুনের শাশুড়ি নাজমা বেগমকে আটক করা হয়েছে।

নিহতের ভাই জনি জানান, জালাল প্রায়ই তাঁর বোন পলিকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর বোন ও ভাগ্নে জুবায়েরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এখন আত্মহত্যা বলে চালানোর অপচেষ্টা করছে জালাল ও তাঁর স্বজনরা।