রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়েছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে হাজার হাজার রোহিঙ্গার হাতে বাংলাদেশি পাসপোর্ট তুলে দিয়েছে। এসব রোহিঙ্গা সৌদি আরবে বসবাস করছে। তারা নানা অপকর্মের সাথে যুক্ত ও দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছে।
আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী। এর আগে তিনি রবি-দৃষ্টি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন তিনি।
সরকার কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হওয়ার কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে বিএনপির অভিযোগ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন হাজার হাজার রোহিঙ্গা যারা সৌদি আরবে গিয়েছিল, তাদেরকে বিএনপি বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়েছে। সৌদি আরবে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা আছে, যারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশি পরিচয় নিয়ে সেখানে বসবাস করছে। তাদের সবাইকে বিএনপির আমলেই পাসপোর্টগুলো দেওয়া হয়েছিল। সেখানে তারা সমস্ত অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত। তাদের জন্য বাঙালিদের বদনাম হচ্ছে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গারা যেহেতু নিজেদের দেশ থেকে বিতারিত হয়েছে, এখানে জনগোষ্ঠীর সাথে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু যারা এসব করছে, তাদের ব্যাপারে সরকার নির্দেশনা দিয়েছে, যারা এ ধরনের সহায়তা দিয়েছে বা করবে তাদেরকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। সরকার কূটনৈতিকভাবেই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করছে। সহসাই এই সমস্যার সমাধান হবে।
বালিশ ও পর্দা কেনা নিয়ে দুর্নীতি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বালিশ কিংবা বা পর্দা এ দুটি দুর্নীতির বিষয় ঘটেছে কিছু কর্মকর্তার মাধ্যমে। এখানে কোনো রাজনৈতিক কিংবা জনপ্রতিনিধির সংশ্লিষ্টতা নেই। এ দুটি দুর্নীতির ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত কঠোর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছেন। বালিশের ব্যাপারে যারা যুক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এবং এ পর্দা নিয়ে যারা দুর্নীতি করছে তাদের ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তারা অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে। আর বিএনপি যেটা বলছে, ‘যারা নিজেরা দুর্নীতি করে, খালেদা জিয়া নিজেই কালো টাকা সাদা করেছেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এফবিআইয়ের সাক্ষ্যের কারণে তাঁর সাজা হয়েছে। আরাফাত রহমানের দুর্নীতি সিঙ্গাপুরে ধরা পড়েছে এবং তাদের অর্থমন্ত্রী কালো টাকা সাদা করেছিলেন। তারা পুরো রাজনীতিতে দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিলেন, সেটির সাথে এটির কোনো তুলনা হয় না। সরকারি কিছু কর্মকর্তা দুর্নীতিতে যুক্ত হয়েছেন। দুর্নীতি নিয়ে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা জাতিকে লজ্জিত করেছে। আর দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করার অধিকার তাদের নেই।’
দৃষ্টির সভাপতি মাসুদ বকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির সদস্য সাফিয়া গাজী রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামসুদ্দিন তাবরীজ প্রমুখ।