জিপিএ ৫-এর বদলে আসছে জিপিএ ৪

Looks like you've blocked notifications!
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এনটিভির সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি : এনটিভি

স্কুল-কলেজের পাবলিক পরীক্ষায়, ফলাফল প্রকাশের পদ্ধতি ‘জিপিএ ৫’-এর পরিবর্তে আসছে ‘জিপিএ ৪’। আগামী বছর যেকোনো পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল ‘জিপিএ ফোর’-এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।

আজ রোববার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘দেশের পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল আন্তর্জাতিকভাবে মূল্যায়নের জন্য জিপিএ ৪ পদ্ধতি চালু হচ্ছে।’

সারা বিশ্বে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয় ‘কিউমুলেটিভ গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ’ বা ‘সিজিপিএ ৪’-এর  মাধ্যমে। কিন্তু বাংলাদেশে স্কুল কলেজের পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয় সিজিপিএ ৫-এর মাধ্যমে। এতে করে এসএসসি কিংবা এইচএসসি পরীক্ষায় যারা পাস করছে তাদের ফলাফল আন্তর্জাতিকভাবে বোধগোম্য হয়ে উঠে না। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জিপিএ ৪-এর মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করা হয়, কিন্তু স্কুল-কলেজের পাবলিক পরীক্ষায় তা হয় জিপিএ ৫- এর মাধ্যমে , যা একজন শিক্ষার্থীর গোটা শিক্ষা জীবনের সার্বিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও এক ধরনের অস্পষ্টতা তৈরি করে। এ রকম নানা যুক্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী এনটিভিকে জানালেন  নতুন সিদ্ধান্তের কথা।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জিপিএ ৫-এর যে গ্রেডিং সিস্টেম আছে সেটাকে আমরা চেষ্টা করছি যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও পৃথিবীর অধিকাংশ জায়গায় ৪ পয়েন্ট আছে, সেটাতে নিয়ে যাওয়ার।’

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘শুধু এসএসসি ও এইচএসসি পর্যন্ত তা নয়, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত পুরো এডুকেশন সিস্টেম ওয়াইড আমরা ইউনিফাইড কমন সিস্টেম করার ব্যাপারে কাজ করব। সেটা করতে গেলে এ বছর থেকে হয়তো সম্ভব হবে না। আমরা এটি যত দ্রুত সম্ভব, পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে হয়তো বা আগামী বছর কোনো একটি পাবলিক পরীক্ষা থেকে শুরু করব।’

খাতা মূল্যায়ণের ক্ষেত্রে যেসব সমালোচনা আছে তা যেন নতুন চালু হতে যাওয়া জিপিএ ৪ পদ্ধতিতে না থাকে নে নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলায় এক রকমের নম্বর উঠে, সায়েন্সে এক রকম উঠে। এসব ভেরিয়েশনকে নিয়ে একটি স্ট্যান্ডারডাইজেশন করার প্রক্রিয়া আছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘একই পরীক্ষা একই খাতা দুজন পরীক্ষক দেখলে দুই রকম নম্বর দিতে পারে। সেই দুটি নম্বরকে একই মাপে আনতে গেলে কিছু স্ট্যাটিসটিক্যাল পদ্ধতি করতে হয়। বিভিন্ন দেশের রেজাল্টে কাজটা করা হয়। আমাদের দেশে করা হয় না। ও লেভেলে বা এ লেভেলে করা হয়, সাধারণ পরীক্ষায় করা হয় না। এটার বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা ও কাজকর্ম চলছে।’  

বৈঠকে ফলাফল প্রকাশের পদ্ধতি জিপিএ ৪-এর ধরন কী হবে এ নিয়ে নানা মতামত এলেও জিপিএ ৫ এর পরিবর্তে জিপিএ ৪ চালুর ব্যাপারে কারোরই আপত্তি ছিল না বলে জানা যায়।