গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে : ওসিকে শোকজ
গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূর সঙ্গে এক ধর্ষকের বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে জেলা পুলিশ। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া ধর্ষণ মামলা হিসেবে গ্রহণ করে ধর্ষকদের হোতা রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
পুলিশ সুপার জানান, সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর মামলা না নিয়ে থানা চত্বরে এক ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে পুলিশ ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) গৌতম কুমার বিশ্বাসকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। বিকেলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে থানায় ধর্ষণ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সদর থানার ওসি ওবাইদুল হক থানা চত্বরে কেন এমন কাজ করলেন তার ব্যাখ্যা চেয়ে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের এক নারীকে গত ২৯ আগস্ট রাতে গ্রামের রাসেল আহমেদ চার সহযোগীকে নিয়ে অপহরণ করে টানা চারদিন ধর্ষণ করে। পরে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ রাসেলকে আটক করে। পরে মামলা নথিভুক্ত না করে থানা চত্বরে ওই গৃহবধূর সঙ্গে রাসেলের বিয়ে দিয়ে ঘটনার মীমাংসা করেন ওসি। এ ব্যাপারে রোববার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়।