শোকের তাজিয়া ঘিরে ‘হায় হাসান, হায় হুসেন’ রব

Looks like you've blocked notifications!
আশুরা উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বকশিবাজারের হোসেনি দালান থেকে দেশের সবচেয়ে বড় তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। এতে অংশ নেন সব বয়সের নারী-পুরুষ। ছবি : এনটিভি

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পালিত হচ্ছে পবিত্র আশুরা। কারবালার শোকাবহ ঘটনাবহুল এ দিনটি মুসলমানদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বরাবরের মতো এবারও পুরান ঢাকার হোসেনি দালান থেকে বের হয় তাজিয়া মিছিল। এ ছাড়া রাজধানীর আরো কয়েকটি জায়গায় শিয়া সম্প্রদায়ের আয়োজনে এই শোকমিছিল বের করা হয়। অন্যদিকে এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসেইনের শোকে এই মাতম। ৬১ হিজরির ১০ মহররম সত্যের পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে কারবালার মরুপ্রান্তরে পরিবার-পরিজনসহ শহীদ হন তিনি। মুসলমানদের জন্য শোক এবং আত্মত্যাগের অনন্য দৃষ্টান্ত কারাবালার এই নৃশংস ঘটনা। হত্যাকারীদের প্রতি ঘৃণা আর কারবালার শহীদদের প্রতি সমবেদনা জানাতেই শিয়া সম্প্রদায়ের এই মিছিল।

রাজধানীর বকশিবাজারের পুরান ঢাকার হোসেনি দালান বা ইমামবাড়া থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সবচেয়ে বড় তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। অংশ নেন সব বয়সের নারী-পুরুষ। তাজিয়া মিছিল নির্বিঘ্ন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

মিছিলে অংশ নেওয়া এক যুবক বলছিলেন, ‘আজকের দিনটি থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে লড়াই করে যাব। আজকের এই দিনে কারবালায় ইমাম হোসেইন শহীদ হয়েছেন। আমরা তাঁকে অনুসরণ করে যেতে চাই। উনি আমাদেরকে ত্যাগের শিক্ষা দিয়ে গেছেন।’

এ ছাড়া আজ মঙ্গলবার সকালে মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ থেকে আরো একটি তাজিয়া মিছিল বের করা হয়, বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে মিছিলটি শেষ হয় তেজগাঁওয়ের ইমামবাড়ায়।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মনে করেন, পবিত্র আশুরার আত্মত্যাগের আদর্শ সবাইকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার প্রেরণা জোগায়।