থানা হবে মানুষের আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের স্থান : প্রধানমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য শান্তি ও শৃঙ্খলা অপরিহার্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, এ অবস্থা বজায় রাখতে পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় থাকা অপরিহার্য। আর এ দায়িত্ব স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ বাহিনীর ওপর বর্তায়। আমি আশাবাদী, পুলিশ এখন যেভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে তেমনি ভবিষ্যতেও করবে।’

আজ বুধবার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট অনুমোদিত কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন বলে ইউএনবির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমেই সরকার দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে। যেখানে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুন্দর ও উন্নত জীবন পাবে। পুলিশকে জনগণের আস্থা অর্জনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা থানা সুন্দর ও দর্শনীয় স্থান হওয়া উচিত। যেগুলো হবে সাধারণ মানুষের আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের স্থান।’

মাদককে সামাজিক সমস্যা আখ্যায়িত করে হাসিনা সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে আসন্ন দিনগুলোতে পুলিশকে আরো অভিযান চালানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘অভিযান (মাদকের বিরুদ্ধে) অব্যাহত থাকবে। মাদক পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করে দেয়। এমনকি মাদকের জন্য ছেলে মাকে হত্যা করে, ভাই ভাইকে হত্যা করে, ছেলে বাবাকে হত্যা করে…। এ ধরনের ঘটনা প্রতিহত করতে আরো তীব্র আকারে অভিযান চালাতে হবে। তবে বিশ্বের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এ অপরাধের ধরনও বদলে যাচ্ছে।’

পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে সরকার পুলিশের প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশের সমস্যা না, এটা পুরো বিশ্বের সমস্যা।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর ভূমিকা অনেক প্রশংসনীয়। এজন্য তাদের জীবনও বিসর্জন দিতে হচ্ছে।

পুলিশকে যথাযথভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সরকার অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও সাইবার পুলিশ সেন্টার গঠন করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ক্ষেত্রেও তাঁরা তাদের দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে।’

২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালের বিভীষিকাময় দিনগুলোর কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, যখন বিএনপি-জামায়াত চক্র আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসের রাজত্ব চালিয়েছিল, তখন প্রায় ২৬-২৭ জন পুলিশ সদস্যকে জীবন দিতে হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, স্বরাষ্ট্র সচির (জন নিরাপত্তা বিভাগ) মোস্তফা কামাল উদ্দিন এবং পুলিশ প্রধান আইজিপি ড. মোহাম্মাদ জাভেদ পাটোয়ারী।

পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী রাজারবাগ পুলিশ লাইন অডিটরিয়ামে থাকা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে এবং গুলশানের করপোরেট কার্যালয়ে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।