বনানীতে অগ্নিকাণ্ড, তদন্ত প্রতিবেদন ১৩ অক্টোবর

Looks like you've blocked notifications!

রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য আগামী ১৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ দিন নির্ধারণ করেন।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) রকিব এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন না আসায় বিচারক তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য নতুন দিন নির্ধারণ করেছেন।‌’‌

এর আগে এফ আর টাওয়ারের গত ৩১ মার্চ বর্ধিত অংশের মালিক তাসভীর-উল ইসলাম ও ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুককে সাত দিনের রিমান্ড দেন আদালত। পরে ১১ এপ্রিল তাসভীর-উল ইসলামকে জামিন দেন সিএমএম আদালত। অপরদিকে ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুকেও জামিন দিয়েছে সিএমএম আদালত।

গত ২৯ এপ্রিল বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউর পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক-রূপায়ণ (এফ আর) টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে ঘটনাস্থলে ২৫ জন এবং হাসপাতালে আরো একজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন ৭৩ জন।

এফ আর টাওয়ারে আগুনের হতাহতের ঘটনায় গত ৩০ মার্চ বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে অবহেলাজনিত মৃত্যু সংঘটনের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন।

মামলায় কাশেম ড্রাইসেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসভীর-উল ইসলাম, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল ও প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুককে আসামি করা হয়।

পরে গত ৩০ মার্চ  রাতেই তাসভীর-উল ইসলাম ও ফারুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অভিযোগ রয়েছে, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বরে ভূমি মালিক ইঞ্জিনিয়ার ফারুক ও রূপায়ণ গ্রুপ যৌথভাবে নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করে। তখন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ১৮তলা ভবন নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন দেয়। কিন্তু ভবনটি ২১তলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০ ও ২১ তলাটি জাতীয় পার্টির প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য মাইদুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে। মাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ফ্লোর দুটি কিনে নেন কাশেম ড্রাইসেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএনপি নেতা তাসভীর-উল ইসলাম। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি ছাদের ওপর আরো দুইতলা নির্মাণ করে ভবনটিকে ২৩তলা পর্যন্ত বর্ধিত করেন।