পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব, হাইকোর্টে জামিন মেলেনি বাবুর

Looks like you've blocked notifications!

‘পদ্মা সেতু নির্মাণে এক লাখ মানুষের কাটা মাথা লাগবে’ এমন গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার নড়াইলের নাজমুল হোসেন ওরফে বাবুর জামিন দেননি হাইকোর্ট।

আসামি বাবুকে কেন জামিন দেওয়া হবে না এ মর্মে চার সপ্তাহের রুল দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিনের বিষয়ে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

এর আগে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ গত ৪ সেপ্টেম্বর আবেদনের পক্ষে জামিন  শুনানি শুরু হলে হাইকোর্ট  রাষ্ট্রপক্ষকে বলেন, ‘মামলাটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে শুনানির করার জন্য।’

আসামি পক্ষের আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘আসামি তাঁর মোবাইল থেকে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে গুজবের বিষয়টি অন্য মোবাইলে পাঠাননি।’  

জবাবে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল  আদালতকে বলেন, ‘অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে এ আসামির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য উপাত্ত রয়েছে। আসামি নাজমুল হোসেন ওরফে বাবুর সাতজনের মেসেঞ্জারে মিথ্যা গুজবটি প্রেরণ করে এসব ডকুমেন্ট দাখিল করেন। এসব বিষয় সিআইডির নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।’

শুনানি শেষে আদালত জামিন না দিয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন।

এর আগে গত ১৯ আগস্ট মো. নাজমুল হোসেন (৪০) ওরফে বাবুর জামিন চেয়ে নড়াইল আদালতে আবেদন করা হয়। এরপর ওই জামিন আবেদন শুনানি নিয়ে তা নাকচ করেন নড়াইলের ভারপ্রাপ্ত দায়রা জজ মো. হায়দার আলী খোন্দকারের আদালত।

বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন নিষ্পত্তিতে বলেন, ‘নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, এজাহার বর্ণনায় আবেদনকারী আসামির বিরুদ্ধে তার নাজমুল হোসেন বাবু নামক ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জার আইডি থেকে পদ্মা সেতু নির্মাণে এক লাখ মানুষের মাথা লাগবে মর্মে সোশ্যাল মিডিয়াতে গুজব ও আতঙ্ক ছড়ানোর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বিদ্যামান। বিষয়টি স্পর্শকাতর এবং দেশের মানুষের জন্য ব্যাপক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। অতএব আসামি নাজমুল হোসেন বাবুর জামিন আবেদনটি নামঞ্জুর।’ এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি।  

অভিযোগে বলা হয়, নাজমুল তাঁর ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার আইডি থেকে ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে এক লাখ কাটা মাথা লাগবে' বলে একটি বার্তা বিভিন্নজনের কাছে পাঠান। এই অভিযোগে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২), ৩১(২), ৩৫ ধারায় ২৫ জুলাই নড়াইল সদর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন পুলিশের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস হোসেন।