যমজ দুই মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার!
গাজীপুরের শ্রীপুরে কিশোরী যমজ দুই মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে তাদের বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিজ মেয়েদের ধর্ষণের এ ঘটনায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তাঁর স্ত্রী। গ্রেপ্তার হওয়া জাহাঙ্গীর আলম কাজল শ্রীপুর উপজেলার বাসিন্দা।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম ভূঞা ও কাজলের স্ত্রীর অভিযোগে জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে শ্রীপুর উপজেলায় বিয়ে করেন জাহাঙ্গীর আলম কাজল। বিয়ের পরপরই কাজল তাঁর স্ত্রীকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। তাঁদের সংসারে যমজ মেয়ের জন্ম হয়। সন্তানদের নিয়ে স্ত্রী বাবার বাড়িতেই থাকতেন। পরবর্তীতে কাজল প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই আরো দুটি বিয়ে করেন। তিনি প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণ-পোষণের জন্য কোনো খরচ দিতেন না। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দেখা ও মেলামেশা করতেন। এর মধ্যে ২০১৭ সালের মে মাস থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত কাজল ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁর যমজ কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করে। স্ত্রীর সামনেই একই ঘরে এ কাজ করতেন বলে তাঁর স্ত্রী দাবি করেন। এ বিষয়ে কাউকে বললে তাঁদের মেরে ফেলার হুমকি দিতেন কাজল। এরকম পরিস্থিতিতে ভিকটিমরা কারো কাছে ঘটনাটি প্রকাশ করার সাহস পাননি। একপর্যায়ে দুই মেয়েকে নিয়ে তাদের মা গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারের সঙ্গে দেখা করে ঘটনা খুলে বলেন। এ সময় ওই নারীকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন পুলিশ সুপার।
এর পরিপ্রেক্ষিতে কিশোরীদের মা বাদী হয়ে স্বামী কাজলের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে ধর্ষণের অভিযোগে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন।
আজ শনিবার কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লিয়াকত আলী জানান, কিশোরীদের বাবার বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ মাদক সেবনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি খুব হিংস্র প্রকৃতির লোক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাজল তাঁর মেয়েদের ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
এদিকে, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) প্রণয় ভূষণ দাস জানান, কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এ হাসপাতালে আনা হয়েছে। তবে তারা তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে অস্বীকার করায় ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।