ছাত্রলীগের চাঁদাবাজির খবর টক অব দ্য কান্ট্রি : রিজভী

Looks like you've blocked notifications!
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত মিছিল শেষে বক্তব্য দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি : এনটিভি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজির খবর এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত মিছিল শেষে এ কথা বলেন রিজভী।

এ সময় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করছে, লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাদের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ৮৬ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগের কারণে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার ক্যাম্পাস উন্নয়ন প্রকল্পের ৪ থেকে ৬ শতাংশ চাঁদা দাবি করেছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।’

“এই চাঁদাকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘ঈদের খরচ হিসেবে ন্যায্য পাওনা।’ এই চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের তর্ক-বিতর্ক এখন টক অব দ্য কান্ট্রি,” যোগ করেন বিএনপি নেতা।

রিজভী আরো বলেন, ‘ছাত্রলীগের এই বিশাল চাঁদাবাজির খবর জনগণের চোখ থেকে দূরে সরানোর জন্য ছাত্রদলের কাউন্সিল আদালতকে দিয়ে বাধা দেওয়া হয়েছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলের ওপর নিষেধাজ্ঞায় আদালতের সুবিচারিক মন প্রয়োগ করা হয়নি। এটি গণতন্ত্রের ওপর মরণ আঘাত।’

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। বিশ্ব ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আজকের দিনটির তাৎপর্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক দেশে গণতন্ত্র যখন সংকটাপন্ন, তখন বাংলাদেশেও বর্তমান অবৈধ সরকারের ছোবলে গণতন্ত্র মরণদশায়।’

রিজভী বলেন, ‘শেয়ারবাজার, রিজার্ভ, ব্যাংক, বালিশ ও পর্দার কথা তো সবার জানাই। এসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে কেবল রাজনৈতিক কারণে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। জনগণের কল্যাণ নয়, বরং লুটের রাজত্ব কায়েম রাখতেই বর্তমান মিডনাইট নির্বাচনের অবৈধ সরকার দেশনেত্রীকে কারাবন্দি করে রেখেছে।’

‘এ সরকার যে ভোট চুরির মাধ্যমে ক্ষমতা জবরদখল করেছে, তা শুধু দেশবাসী নয়, গোটা বিশ্ববাসীও জানে। মধ্যরাতের ভোটের সরকার বলেই বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠী জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে কবর দিয়ে বিএনপিসহ সব বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে একদলীয় বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। কণ্ঠরুদ্ধ মানুষ দীর্ঘশ্বাস চেপে রেখেছে। গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে বর্তমান স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী আদালতকে কসাইয়ের ছুরি হিসেবে ব্যবহার করছে।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আরো বলেন, ‘গণতন্ত্রের কবর রচনা করে একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম রাখার যে স্বপ্ন ভোটারবিহীন সরকার দেখছে, তা জনগণ কোনোদিনই পূরণ হতে দেবে না। দেশের আপামর জনগণের আস্থাভাজন নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে জাতীয়তাবাদী শক্তি দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।’