মেট্রোরেলের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের বিশেষ ইউনিট হবে : প্রধানমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার গণভবনে দ্রুতগতি ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গণপরিবহনব্যবস্থা মেট্রোরেল প্রকল্পের বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত পর্যালোচনা সভায় বক্তব্য দেন। ছবি : ফোকাস বাংলা

মেট্রোরেল প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দ্রুতগতি ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গণপরিবহনব্যবস্থা মেট্রোরেল প্রকল্পের বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। বার্তা সংস্থা বাসস ও ইউএনবি এ তথ্য জানিয়েছে।

এ সময় ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে ‘ঢাকা মহানগরী ও এর আশপাশের এলাকায় এমআরটি লাইন নির্মাণের জন্য টাইম বাউন্ড অ্যাকশন প্ল্যান ২০৩০’ এর বাস্তবায়নের সার্বিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন।

সভায়, প্রধানমন্ত্রী জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহায়তায় ও সরকারের মালিকানাধীন ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) এমআরটি লাইন ১, ২, ৩, ৪, ৫ ও ৬ এর কাজের অগ্রগতি নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা অবলোকন করেন।

দেশে এই প্রথমবারের মতো মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। জাইকার সহযোগিতায় রাষ্ট্র মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

বৈঠকে উত্তরা-আগারগাঁও অংশের প্রায় ৪৬ শতাংশ এবং আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের ২৪ শতাংশ কাজ এখন পর্যন্ত শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক জানান, এমআরটি লাইন-৬ এর কাজের প্রায় ৩০ শতাংশের সামগ্রিক অগ্রগতি হয়েছে, উত্তরা মতিঝিল অংশে প্যারাপেট ওয়াল দিয়ে ভায়াডাক্ট নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে।

এম এ এন সিদ্দিক ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত এমআরটি লাইন-৬ কাজ শেষ করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন।

বৈঠকে ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিত সময়সীমা ২০৩০ এর মধ্যে এমআরটি লাইন স্থাপনের কাজ শেষ করে শহরজুড়ে আধুনিক ও ভূগর্ভস্থ রেল যোগাযোগ নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

দ্রুতগামী মেট্রোরেলটি উত্তরা থেকে মিরপুর ও ফার্মগেট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত যাতায়াত করবে। এতে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবে। প্রতি চার মিনিট পর পর এক এক করে প্রতিটি স্টেশনে ট্রেন থামবে।

এই প্রকল্পের ১৬টি স্টেশন হলো : উত্তর উত্তরা, মধ্য ও দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংক।

এমআরটি-৬ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে নগরবাসী তাদের অতিকাঙ্ক্ষিত আরামদায়ক পরিবহনে ভ্রমণের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। তারা বর্ধিত রাজধানীর যানজটের সড়কগুলোর পরিবহণে দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর যাত্রা থেকে নিষ্কৃতি পাবেন।

প্রকল্পটি শুরু হলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মাত্র ৩৮ মিনিটে একজন যাত্রী উত্তরা পৌঁছতে পারবেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রতিরক্ষা সচিব আখতার হোসেন ভূঁইয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সেলের সিইও ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া ও জাইকার প্রতিনিধিরা।