দুই জেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ব্যক্তি নিহত

Looks like you've blocked notifications!
আজ বুধবার ভোরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর এলাকায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে এ ব্যক্তি নিহত হন। ছবি : এনটিভি

নারায়ণগঞ্জ সদর ও গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত।

আজ বুধবার ভোররাতে নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় এবং গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর এলাকায় এ দুটি কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নারায়ণগঞ্জে নিহত ব্যক্তির নাম তুহিন। এলাকায় তিনি ‘চাপাতি তুহিন’ নামেও পরিচিত। আর গাজীপুরে নিহতের নাম মাসুদ পারভেজ। তিনি উপজেলার বরমি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

গাজীপুর থেকে আমাদের প্রতিনিধি নাসির আহমেদ র‍্যাবের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, সাড়ে ৩টার দিকে একদল ডাকাত সাতখামাইর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের টহল দল সেখানে অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ডাকাতরা। র‌্যাব পাল্টা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই মাসুদ পারভেজ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এবং অপর সহযোগীরা পালিয়ে যায়। গোলাগুলিতে কনস্টেবল সোহরাব আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে র‍্যাব।

র‍্যাব আরো দাবি করেছে, এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, ছয়টি শটগান, একটি ওয়ান শুটারগান, ১৩টি কার্তুজ ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে শ্রীপুর মডেল থানায় রাখা হয়েছে। পারভেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে সাতটি ডাকাতি, একটি হত্যা, একটি অস্ত্র আইনে মামলাসহ মাদক ও অন্যান্য অভিযোগের মামলা রয়েছে বলে জানান র‌্যাব।

নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রতিনিধি নাফিজ আশরাফ জানিয়েছেন, সেখানে নিহত তুহিন এলাকায় ‘চাপাতি তুহিন’ নামেও পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে সদর ও ফতুল্লা থানায় তিনটি হত্যাসহ একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।

‘বন্দুকযুদ্ধ’ সম্পর্কে র‍্যাবের ভাষ্য হচ্ছে, তুহিন ছিলেন এলাকার ত্রাস। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালায় র‍্যাব।

র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তুহিন ও তাঁর সহযোগীরা র‍্যাবকে লক্ষ্য গুলি ছুড়তে শুরু করে। আত্মরক্ষায় র‍্যাবও পাল্টা গুলি করে।

কয়েক মিনিট পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তুহিনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।