যুবলীগ নেতা খালেদের ১৪ দিন রিমান্ড চাইবে পুলিশ
অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র্যাবের হাতে আটক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, অস্ত্র ও মাদকের দুটি মামলায় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ১৪ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। মানি লন্ডারিং মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করবে।
এর আগে আজ দুপুর আড়াইটায় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানান ওসি কামরুজ্জামান।
গুলশান থানার জিআরও রাকিব এনটিভি অনলাইনকে বলেন, অস্ত্র মামলায় সাত দিন ও মাদক মামলায় সাত দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
গতকাল রাতে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশানের নিজ বাসা থেকে আটক করে র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা পাওয়া যায় বলে র্যাব জানায়। তাঁকে পরে র্যাব ৩-এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় খালেদ মাহমুদকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে র্যাব।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় মতিঝিলের ফকিরাপুল এলাকায় ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। ওই ক্যাসিনোর মালিক হচ্ছেন আটক যুবলীগ নেতা খালেদা মাহমুদ ভূঁইয়া।
ওই ক্যাসিনোতে জুয়া খেলা অবস্থায় নারী ও পুরুষ মিলে ১৪২ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।