শুনানিতে যুবলীগ নেতার আইনজীবী বলেন

‘খালেদ হাজি সাহেব, রিমান্ডে নেওয়ার মতো কিছু নেই’

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আজ বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে গুলশান থানার পুলিশ। ছবি : স্টার মেইল

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার দুটি  মামলায় মোট সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন দুটি আদালত। আজ বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বেগম মাহমুদা আক্তার অস্ত্র মামলায় চার দিন ও বিচারক শাহিনূর রহমান মাদক মামলায় তিন দিনের  রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গুলশান থানার পুলিশ আজ রাত ৮টা ২০ মিনিটে খালেদকে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অস্ত্র ও মাদক মামলায় সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।  

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান জামিন আবেদনের বিরোধিতা ও রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বলেন, আসামির কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র পাওয়া গেছে। তাঁর বাসা থেকে ৫৮৫ পিস ইয়াবা ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। এই ইয়াবা ও মদের উৎস কোথায় এবং তাঁর সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত এসব বিষয় উদঘাটনের জন্য তাঁকে জিজ্ঞাবাদের জন্য রিমান্ডের প্রয়োজন।

এরপর খালেদের আইনজীবী মাহমুদুল হাসান জামিনের আবেদন জানিয়ে শুনানিতে বলেন, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁকে পলিটেক্যালি ভিকটিমাইজ করা হয়েছে। তিনি হজ করে এসেছেন। তিনি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। জামিন দিলে পলাতক হবেন না।

আইনজীবী আরো বলেন, আসামির বাড়িতে যে অস্ত্র পাওয়া গেছে তা বৈধ। ২০১৭ সালে লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। তাই অবৈধ বলা হচ্ছে। রাস্তায় অনেক পুরাতন গাড়ি তো চলে, সেই গাড়ির মেয়াদ শেষ হলে যেমন হয়, তেমন খালেদের অস্ত্রের ক্ষেত্রে হয়েছে। তিনি হাজি সাহেব তাকে রিমান্ডে নেওয়ার মতো কিছু নেই। এ ছাড়া তিনি অসুস্থ ব্যক্তি।

আইনজীবী মাহমুদুল হাসান আরো বলেন, টাকা পাওয়া গেছে বলা আছে। তা কোনো অবৈধ নয়। তিনি নেতা। টাকা থাকতেই পারে।

এরপর বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। প্রথমে বিচারক বেগম মাহমুদা আক্তার অস্ত্র মামলায় চার দিন, পরে বিচারক শাহিনূর রহমান মাদক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, অস্ত্র ও মাদকের দুটি মামলায় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ১৪ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। মানি লন্ডারিং মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করবে।   

গতকাল রাতে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশানের নিজ বাসা থেকে আটক করে র‍্যাব।  সময় ওই বাসা থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা পাওয়া যায় বলে র‍্যাব জানায়। তাঁকে পরে র‍্যাব- ৩-এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আজ দুপুর আড়াইটায় খালেদ মাহমুদকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে র‍্যাব।

এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় মতিঝিলের ফকিরাপুল এলাকায় ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালায় র‍্যাব। ওই ক্যাসিনোর মালিক হচ্ছেন আটক যুবলীগ নেতা খালেদা মাহমুদ ভূঁইয়া। ওই ক্যাসিনোতে জুয়া খেলা অবস্থায় নারী ও পুরুষ মিলে ১৪২ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।