জাবিতে অর্থ কেলেঙ্কারী ‘পদ্মা সেতু’র মতোই : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি : এনটিভি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শাখা ছাত্রলীগকে উপাচার্যের ঈদ বকশিশ হিসেবে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রদানসহ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগকে পদ্মা সেতু নিয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারীর অভিযোগের মতোই বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থ তো এখনও ডেসপাস হয় নাই, এখনো কন্ট্রাক্ট শুরু হয় নাই। এখনো তো কিছু হয়নি। এটা নিয়ে, অর্থ নিয়ে মানে যেসব কাহিনী আমরা শুনতেছি- এগুলো তো এখনো সেই পদ্মা সেতুর মতো দশা আমার কাছে মনে হচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। সাক্ষাতের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি (উপাচার্য) প্রায়ই সাক্ষাৎ করতে আসেন। আজও সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ থেকে অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগের গুঞ্জনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। আমরা কিছু শুনিও নাই এই সম্পর্কে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে শাখা ছাত্রলীগকে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা ঈদ বকশিশ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাও টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংস্থা নৈতিক স্খলনের অভিযোগ এনে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে ১ অক্টোবরের মধ্যে পদত্যাগ করার সময় বেধে দিয়েছেন। তবে উপাচার্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

এ পরিস্থিতিতে জাবির উপাচার্য আজ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। গণমাধ্যম কর্মীরা এ সংবাদ শোনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে ভিড় করতে থাকেন। ১০ মিনিট পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকরা উপাচার্যের কাছে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি হাসতে হাসতে তা এড়িয়ে যান।

একজন সাংবাদিক উপাচার্য ফারজানা ইসলামের পথ আটকে তাঁর কাছে জানতে চান, ‘ম্যাডাম, আপনি পদত্যাগ করছেন, এমন কথা বেশ জোরালোভাবে প্রচার হচ্ছে। এটা ঠিক কি না?

উপাচার্য এমন প্রশ্নেরও উত্তর না দিয়ে হাসতে থাকেন। কোনো কথা বলবেন না বলে হাত দিয়ে তিনি ইশারা করে চলে যান।