শামীমের বেডরুম পাহারায় থাকতেন ৭ গানম্যান

Looks like you've blocked notifications!
দেহরক্ষীসহ যুবলীগ নেতা জি কে শামীম। ছবি : সংগৃহীত

রাতে ঘুমানোর সময়ও যুবলীগের আলোচিত নেতা জি কে শামীমের বেডরুমের পাহারায় থাকতেন সশস্ত্র সাত গানম্যান। বাসার বাইরে গেলে সঙ্গে থাকতেন সুঠামদেহী সাত গানম্যান। জি কে শামীমের গানম্যানের সংখ্যা আরো বেশি। রোস্টার অনুযায়ী এরা ডিউটি করে থাকেন। এমনটাই জানালেন আটক শামীমের ব্যক্তিগত সহকারী দিদারুল আলম।

এনটিভি অনলাইনকে দিদার জানান, ‘গুলশান নিকেতনের ৫ নম্বর সড়কের ১৪৪ নম্বর বাড়িতে স্যারের (জি কে শামীম) ব্যবসায়িক কার্যালয়। একই সড়কের ১১৩ নম্বর বাড়িতে স্যার পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকেন।’

দিদার বলেন, ‘স্যার প্রতিদিন রাত সাড়ে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত কার্যালয়ে থাকেন। পরে বাসায় চলে যান। এ সময়ও তার সঙ্গে সশস্ত্র গানম্যানরা থাকেন। স্যার বাসায় যখন ঘুমান, তখনো বাসায় ওই গানম্যানরা অবস্থান করেন। সকালে আরেক গ্রুপ আসা পর্যন্ত এ গ্রুপটি বাসায় থাকে। এভাবেই চলে প্রতিদিন গানম্যানদের ডিউটি।’

আজকের অভিযানের বিষয়ে দিদার বলেন, ‘ভোর ৬টায় র‍্যাব সদস্যরা স্যারের বাসাটি ঘেরাও করে ফেলে। তারা সিটি করপোরেশন থেকে এসেছে বলে বাড়ির দারোয়ানাকে জানায়। পরে ভেতরে ঢুকেই অস্ত্রসহ গানম্যানদের আটক করে ফেলে র‍্যাব সদস্যরা। এর কিছুক্ষণ পরই র‍্যাব সদস্যরা স্যারকে নিয়ে ব্যবসায়িক কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখে।’

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় র‍্যাব।’

এর আগে গত বুধবার যুবলীগের আরেক প্রভাবশালী নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করেছিল র‍্যাব। বর্তমানে খালেদ ডিবি হেফাজতে রিমান্ডে রয়েছেন।

দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অপকর্মের দায়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ হারানো পর প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের কয়েকজন নেতার দুর্নীতির বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের ভেতরেও শুদ্ধি অভিযান পরিচালনার ইঙ্গিত দেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে র‍্যাব যুবলীগের কয়েকজন নেতার কার্যালয় ও বাসভবনে অভিযান পরিচালনা করছে। যুবলীগ নেতা শামীমের বিরুদ্ধে রাজধানীতে খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিযান পরিচালনাকারী র‍্যাবের এক কর্মকর্তা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৩ সদস্যের একটি দল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রলীগের পর যুবলীগকে ধরেছি। সমাজের সব অসঙ্গতি দূর করব। অপরাধ, অনাচার রোধে যা যা করার করা হবে। যাকে যাকে ধরা দরকার, তাদের ধরা হবে। জানি, কাজটা কঠিন, বাধা আসবেই। কিন্তু জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ফেরাতে সরকার তা করবে।’