ভৈরবে শিশু আবৃত্তি উৎসব অনুষ্ঠিত

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের উদয়ন স্কুল প্রাঙ্গণে আবৃত্তি উৎসবে শিশুদের পরিবেশনা। ছবি : এনটিভি

তৃণলতা সহজেই তৃণলতা। পশু-পাখি জন্ম নিলেই পশু পাখি। আর মানুষ প্রাণপণ চেষ্টার পর মানুষ। মানুষরূপে জন্ম নিলেই মানুষ হওয়া যায় না। তাকে অনেক সাধনা করতে হয়। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হয়। আর সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হলে কেবল পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন করলেই হয় না। সেজন্য মানুষকে শিল্প-সাহিত্য ওসংস্কৃতি বিষয়েও বিদ্যা অর্জন করতে হয়।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শিশু আবৃত্তি উৎসব ২০১৯ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অনুষ্ঠানের অতিথি বক্তারা। ভৈরব শিশু আবৃত্তি উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে আজ শনিবার স্থানীয় উদয়ন স্কুল প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী ওই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে ভৈরবের ৩২টি সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দেড় শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী আবৃত্তিশিল্পী অংশ নেয়।

আবৃত্তিশিল্পী ও সাংবাদিক মোস্তাফিজ আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট ছড়াকার জগলুল হায়দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভৈরবের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনিসুজ্জামান, প্রেসক্লাব সভাপতি মো. জাকির হোসেন কাজল, আবৃত্তিশিল্প সংগঠক ও ভৈরব বইমেলা পরিষদের সভাপতি আতিক আহমেদ সৌরভ, ভৈরব পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. আল আমিন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নাদিরা আক্তার রুমা ও ইউনাইটেড হাসপাতালের পরিচালক ডা. শায়লা ফারজানা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান প্রজন্ম বেশ কিছু আসক্তিতে অবগাহন করে আছে। যা তাদের মেধা ও মননকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সৃষ্টিশীলতাকে বিনাশ করে তাদের অন্ধকার এক জগতে টেনে নিচ্ছে। সেই আসক্তি আর অন্ধকার থেকে তাদের ফিরিয়ে আনতে এই কবিতা আবৃত্তি চর্চা এক মহৌষধ হিসেবে কাজ করতে পারে। তাই এ রকম একটি সময়োপযোগী আয়োজনের জন্য তারা আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক, আবৃত্তিকার ও নাট্যাভিনেতা এম. মতিউর রহমান সাগর। তিনি এ সময় ভৈরবে শিশুদের আবৃত্তি চর্চাকে নিয়মিত করতে আরো বড় পরিসরে প্রতি বছর শিশু আবৃত্তি উৎসব উদযাপনের পরিকল্পনার কথা বলেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে প্রথমবারের মতো এমন একটি উদ্যোগে যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের ধন্যবাদ জানান।

ভৈরব আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষক ও রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী মারজিয়া আক্তার সুরভীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আয়োজক কমিটির সদস্য ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জলি বদন তৈয়বা, আবৃত্তিশিল্পী নূর-এ-লায়লা রিক্তা, নাট্যাভিনেতা মানিক চৌধুরী, শিক্ষক ও আবৃত্তিশিল্পী ফারহানা লিপি, আবৃত্তিশিল্পী প্রভাষক লুবনা হক, শিক্ষক ও আবৃত্তিশিল্পী ফারজানা সুলতানা ফ্লোরিন, নৃত্যশিল্পী হুমায়রা তাসনিম তানশি প্রমুখ।