বড় বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ছোট বোনকে ধর্ষণ, যুবলীগ নেতা কারাগারে

Looks like you've blocked notifications!

মানিকগঞ্জের এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণ ও এর ভিডিও ইন্টানেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ঘিওর উপজেলা যুবলীগের সদস্য কামরুল হাসান খান কামালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কামাল আজ রোববার মানিকগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলমের আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গতকাল শনিবার কিশোরীর বাবা ঘিওর থানায় মামলা করার পর রাতেই কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষণ ও পর্নগ্রাফি মামলায় গ্রেপ্তারের পর কামালকে ঘিওর উপজেলা যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান জনি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ মে কামাল কিশোরীদের বাসায় গিয়ে তার বড় বোনকে (১৮) বিয়ের প্রস্তাব দেন। তিনি দুই মেয়ের মাকে ‘মামণি’ বলে সম্বোধন করেন। সেই থেকে কামাল ওই পরিবারের সঙ্গে ফোনে ও সরাসরি যোগাযোগ শুরু করেন। হবু আত্মীয় হিসেবে কামাল  কিশোরীকে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে নিয়ে যেতেন। গত জুলাই মাসে কামাল কিশোরীকে নিয়ে ঢাকার শ্যামলীতে যান। সেখানে একটি হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওঠেন। হোটেল রুমে কামাল ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করেন। পরে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন। গতকাল শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য জানান, কিশোরীর একটি ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে। বাদী খোঁজ নিয়ে দেখেন, তাঁর মেয়ের খারাপ ভিডিও। তিনি বাড়িতে গিয়ে কিশোরী মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সে ধর্ষণের ঘটনা জানায়। এরপর তিনি (কিশোরীর বাবা) ঘিওর থানায় গিয়ে মামলা করেন।

ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, শনিবার মামলা হওয়ার পর রাতেই কামালকে গ্রেপ্তার  করা হয়। আজ রোববার দুপুরে কামালকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। তখন কামাল  স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাইলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।