জামালপুরের সেই ডিসির কেলেঙ্কারির ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন পেশ

Looks like you've blocked notifications!

জামালপুরের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরের নারী কেলেঙ্কারির ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেছে তদন্ত কমিটি। গতকাল সোমবার তদন্ত কমিটির প্রধান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মুশফিকুর রহমান তদন্ত প্রতিবেদন জনপ্রশাসন সচিবের কাছে জমা দেন।

তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এনটিভি অনলাইনকে জানান, তদন্ত প্রতিবেদনের কোনো ‘প্রিন্ট কপি’ করা হয়নি। একজন কর্মকর্তার কক্ষে একজন অপারেটর ওই কর্মকর্তার সামনে তাঁর ডিক্টেশন নিয়ে কম্পোজ করেছেন। কম্পোজ শেষে প্রতিবেদনটির ‘সফ্ট কপি’ একটি পেনড্রাইভে করে জনপ্রশাসন সচিবের কাছে পেশ করা হয়েছে। অতি সতর্কতা ও গোপনীয়তা রক্ষা করে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

গত ২২ আগস্ট জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ের একজন নারী কর্মীর আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে এটি নেট জগতে ভাইরাল হয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে আহমেদ কবীরকে নারী সহকারীর সঙ্গে অত্যন্ত আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়। সরকারের মাঠ প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার এহেন কর্মকাণ্ডে বিস্মিত ও হতবাক হয়ে পড়ে গোটা প্রশাসন।

ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর জেলা প্রশাসকের পদ থেকে আহমেদ কীবরকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, ডিসির কার্যালয়ের ভেতরে ছোট একটি কক্ষ। খাস কামরা হিসেবে পরিচিত এ কক্ষেই আহমেদ কবীর তার সহকারী সানজিদা ইয়াসমিন সাধনার সঙ্গে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন। তবে ভিডিওর বিষয়ে সাধনা সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্যার খুব ভালো মানুষ। আমার কোনো ক্ষতি করেনি।’

গত ২৫ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মুশফিকুর রহমানকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি গতকাল প্রতিবেদন পেশ করেছে।

গত ২৫ আগস্ট আহমদ কবীরকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে ঢাকায় ফিনিয়ে আনা হয়।