অস্ত্র ও মাদক মামলা

ইয়ংমেনসের সভাপতি খালেদের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে র‍্যাব

Looks like you've blocked notifications!

ইয়ংমেনস ক্লাবের সভাপতি খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক মামলা এখন থেকে র‍্যাব তদন্ত করবে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় মামলা দুটির তদন্তভার পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে ঢাকার চিফ মেট্রেপিলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআর সূত্রে জানা যায়, এখন থেকে র‍্যাব খালেদের রিমান্ডের বিষয় দেখবেন। এর আগে গতকাল অস্ত্র মামলার রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে তাকে মাদক মামলার রিমান্ডে পাঠানোর অনুমতি দেন আদালত।

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, খালেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলা দুটির তদন্ত করবে র‍্যাব। ওই মামলাগুলোর নথিপত্র র‍্যাব এরইমধ্যে হাতে পেয়েছে।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা( জিআরও) এস আই রাকিবুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গত শনিবার খালেদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় দায়ের করা মাদকের আরেক মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। ওই দিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর খালেদের উপস্থিতিতে রিমান্ড  শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।’

তিনি বলেন, ‘গত ১৯ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় সাবেক যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে সাতদিনের রিমান্ডে পাঠায়। তার মধ্যে অস্ত্র মামলায় চার দিন এবং মাদক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড দেন আদালত।’

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশানের নিজ বাসা থেকে আটক করে র‍্যাব। ওই সময় ওই বাসা থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা পাওয়া যায় বলে র‍্যাব জানায়। তাঁকে পরে র‍্যাব- ৩ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। পরের দিন ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটায় খালেদ মাহমুদকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে র‍্যাব। ওই দিনই সন্ধ্যায় মতিঝিলের ফকিরাপুল এলাকায় ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। ওই ক্যাসিনোর মালিক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। ওই ক্যাসিনোতে জুয়া খেলা অবস্থায় নারী ও পুরুষ মিলে ১৪২ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।