ফেসবুকে পরিচয়, অফিসে নিয়ে ধর্ষণ
এক নারীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় শাকিল কামাল চৌধুরীর। এক সময় সখ্য গড়ে ওঠে। পরে ওই নারীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে অফিসে ডেকে আনেন শাকিল। অফিসে গেলে বাংলাদেশ আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) দুই পরিচালক তাঁকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষণের ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে ধানমণ্ডি থানায় একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। মামলার এজাহার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ধানমণ্ডি থানায় করা মামলার এজাহারে ওই নারী বলেছেন, আসামি শাকিল কামাল চৌধুরীর সঙ্গে সাত-আট মাস আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় আমার। আমি তাঁকে চাকরির কথা বললে তিনি আমাকে ঢাকায় আসতে বলেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে আমি ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ১৩ নম্বর রোডের ৮ নম্বর বাড়িতে শাকিল কামাল চৌধুরীর অফিসে যাই এবং সৌজন্য সাক্ষাৎ করি।
এজাহারে বলা হয়েছে, আমি আমার আদাবর থানার বর্তমান ঠিকানায় অবস্থানকালে ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টার দিকে আমার ভাইবার নম্বরে কল করে শাকিল চাকরির জন্য তাঁর অফিসে যেতে বলেন আমাকে। কথা মতো আমি বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাঁর অফিসে যাই। তখন সেখানে শুধু শাকিল কামাল চৌধুরী ও মহিউদ্দিন সিকদারকে দেখতে পাই।
এজাহারে আরো বলা হয়েছে, সে সময় তারা দুজন আমাকে ধর্ষণ করেন। আমি চিৎকার করি। কিন্তু আশপাশে লোকজন না থাকায় কেউ এগিয়ে আসেনি। এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য তারা দুজন আমাকে হুমকি দেন। পরবর্তী সময়ে মহিউদ্দিন সিকদারকে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে আমি পালিয়ে আসি।
এই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর গতকাল রাতেই রিহ্যাবের দুই পরিচালক শাকিল কামাল চৌধুরী ও মহিউদ্দিন সিকদারকে গ্রেপ্তার করে ধানমণ্ডি থানা পুলিশ। তাদের আদালতে নেওয়া হয়। তবে রিমান্ড চায়নি পুলিশ।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের আওতাধীন ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়ক ডা. বিলকিস বেগম জানিয়েছেন, আগামী বুধবার ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত দুজনের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। অভিযোগকারী নারীর ফরেনসিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এতে তাঁর শরীরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের আলামত মিলেছে।