দগ্ধ লিজাকে দেখতে হাসপাতালে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান
দগ্ধ রাজশাহী মহিলা কলেজের ছাত্রী লিজা রহমানকে দেখতে আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম।
এ সময় নাছিমা বেগম বলেন, ‘আমরা পুরো ঘটনাটা জানতে চাই যে, কেন এ রকম একটা প্রেক্ষাপট হলো। তদন্ত না করা পর্যন্ত কিন্তু বুঝতে পারব না। সেটা তদন্ত করে দেখে মানবাধিকার কমিশন থেকে যা কিছু করণীয় আমরা অবশ্যই সেটা করার জন্য চেষ্টা করব। আমাদের যে অভিজ্ঞতা আছে মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য আমার মনে হয়, বর্তমান কমিশনে অনেক বেটার একটা রেজাল্ট ইনশা আল্লাহ আমরা দেখাতে পারব।’
নাছিমা বেগম আরো বলেন, বর্তমান কমিশনে যারা আছেন তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে খুবই দক্ষ। তাই সবাই মিলে ভালো কিছু করা সম্ভব হবে।
গত শনিবার বিকেল ৩টার দিকে রাজশাহীর শাহ মখদুম থানার সামনে শরীরে আগুন লাগিয়ে গুরুতর আহত হন লিজা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
লিজার দত্তক ভাই সিহাব আহমেদ জানান, তাঁদের বাড়ি গাইবান্ধায়। তাঁর বোন সাখাওয়াত নামের একজনকে ভালোবেসে বিয়ে করে রাজশাহীর শাহ মখদুম থানার পাশে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। কিন্তু সাখাওয়াতের পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নেয়নি। এমনকি সাখাওয়াতকে তারা কয়েক দফা জোরপূর্বক স্ত্রীর কাছ থেকে নিয়ে যায়। সর্বশেষ এ বিষয়ে বিচার চাইতে সংশ্লষ্ট থানা ও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে গেলেও কোনো সহযোগিতা না পাওয়ায় ক্ষোভে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন লিজা।