৫০ কোটি টাকার নকল প্রসাধনী ও ইলেকট্রনিকস পণ্য জব্দ

Looks like you've blocked notifications!
গতকাল বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার শিমরাইল এলাকার একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা মূল্যের নকল প্রসাধনী ও ইলেকট্রনিকস পণ্য জব্দ করেছে পুলিশ। ছবি : এনটিভি

 

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার শিমরাইল এলাকার একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা মূল্যের নকল প্রসাধনী ও ইলেকট্রনিকস পণ্য জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় কারখানার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আট ব্যক্তিকে আটক করা হয়।

গতকাল বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল এ অভিযান চালায়।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সাইফুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, অহিদুল ইসলাম, রাজীব, মাইনুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান।

পুলিশ জানিয়েছে, সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল-ডেমরা সড়কে ম্যাক্স ইলেকট্রনিকস লিমিটেড ও মুনস্টার প্রাইভেট লিমিটেড নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী বেলায়েত হোসেনকে আটক করতে না পারলেও প্রতিষ্ঠানটি থেকে আটজনকে আটক করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে এসপি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠান দুটি নকল প্রসাধনী তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল। বিভিন্ন দেশের ব্র্যান্ড নকল করে রং ও সুগন্ধির মাধ্যমে এসব প্রসাধনী তৈরি করছিল তারা। ফরএভার, কোবরা, গাম্বিট, ফগ, রয়েলসহ অসংখ্য বিদেশি ব্র্যান্ডের পণ্যের নামে তারা বাজারজাত করত।

এ ছাড়া সনি, স্যামসাং, প্যানাসনিক, এলজি ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে নকল ইলেকট্রনিকস পণ্য তৈরি করা হতো।

একদিকে পারফিউমের ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে সাত কোটি টাকার মালামাল বানিয়ে বিভিন্ন গোডাউনে মজুদ করেছেন তাঁরা। অন্যদিকে দেখা গেছে বিভিন্ন ধরনের টিভি। একেকটা টিভি ৬৫, ৭০ ও ৮০ ইঞ্চি। তাঁরা হাজার হাজার টিভি বানিয়ে রেখেছেন। এ ছাড়া সরকারের বিশাল অঙ্কের ট্যাক্স তাঁরা ফাঁকি দিয়েছেন বলেও জানান এসপি হারুন। তিনি বলেন, ‘এসব ইলেকট্রনিকস পণ্য কিনে সাধারণ মানুষ কিনে প্রতারিত হচ্ছিলেন। প্রসাধনীগুলো ব্যবহারের ফলে মানুষের ক্যান্সার ও চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক।’