ভৈরবে পার্থিব অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচন অনুষ্ঠিত

Looks like you've blocked notifications!
ভৈরবে পার্থিব শিল্পী সংঘের ভোটের আগে আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন নাট্যভিনেতা ও নির্বাচন পরিচালনা পরিষদের প্রধান আলহাজ কামাল উদ্দিন। ছবি : এনটিভি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পার্থিব অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটানা চলে ভোটগ্রহণ। সংগঠনের ১৭২ জন ভোটারের মধ্যে ১৫১ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নাট্যভিনেতা আলহাজ কামাল উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচন পরিচালনা পরিষদ ভোটগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন তিনি। এর আগে তাঁর সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য দেন নির্বাচন পরিচালনা পরিষদের অন্যতম সদস্য নাট্যাভিনেতা জাহানুল হক বাবুল, ভৈরব থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক ও এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক মোস্তফিজ আমিন, আলহাজ জাহিদুল হক জাবেদ, প্রভাষক ইমরান হোসেন ও সাংবাদিক আলহাজ সজীব আহমেদ।

এ সময় বক্তারা বলেন, নাটক সমাজ বদলের হাতিয়ার। একটি দেশ, জনপদ ও সমাজের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ও সমস্যা নাটকে যেভাবে সহজে ফুটিয়ে তোলা যায়, অন্যকোনো মাধ্যমে তা সম্ভব নয়। সুষ্ঠুধারার নাট্যচর্চা মানুষ ও তার চারপাশকে বদলে দিতে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। তাই পার্থিব নাট্যসংঘের প্রতিটি অভিনয়শিল্পীর কাজে দেশ দায়িত্বশীল আচরণ আশা করে।

নির্বাচনে সভাপতি পদে পার্থিব মামুন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনর্নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক পদেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী।

সিনিয়র সহসভাপতি পদে মাসুম খান ৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জুম্মান হোসেন মনির পেয়েছেন ৫১ ভোট। সহসভাপতি চারটি পদের বিপরীতে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছেন আব্দুল মজিদ (১১৮), মো. সমুজ মিয়া (১১৭), এসআই জাহাঙ্গীর আলম (১১৬) ও মো. রিপন মিয়া (৯৩) ভোট।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (১) পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় মনির চৌধুরীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন পরিচালনা পরিষদ। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (২) পদে নাফিজ ইকবাল ৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খোকন মিয়া পেয়েছেন ৫২ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে স্বপন আহমেদ দুর্জয় ১৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাছির ভৈরবী পান ১৫ ভোট। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ফয়সাল খান নির্বাচিত হয়েছেন ১৩৪ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াছ আলী পেয়েছেন ১৬ ভোট।

নাট্য সম্পাদক পদে শাহীন সুলতানা ১০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঘল সম্রাট পেয়েছেন ৪১ ভোট। তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন মাসুদ আলম সুমন। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শিপন আহম্মেদ পেয়েছেন ৪৯ ভোট। ধর্মবিষয়ক সম্পাদক পদে সারোয়ার তানভীর ৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দেওয়ান নূরে আলম জালালী ৩৭ এবং আনোয়ার হোসেন পান ২৯ ভোট।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে জিরো আসাদ ৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রাজন মিয়া পেয়েছেন ৬৯ ভোট।

এ ছাড়াও নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন অর্থসম্পাদক পদে রনি ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক পুড়া কামাল, অনুষ্ঠান বিষয়ক সম্পাদক চৈতি, আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজল দেবনাথ ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে আলমগীর জালালী।

কার্যকরী সদস্য চারটি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ছয় প্রার্থী। এরমধ্যে ১২৮ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন কামাল আহমেদ দুর্জয়, ১১০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন মনিরুজ্জামান খোকন, ৮৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন অন্তর সাগর এবং ৮৫ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন রুহুল আমীন।

এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে পুরো উপজেলা পরিষদ চত্বরে ছিল সাজ সাজ রব। প্রার্থীদের নানা রঙ আর সাজের পোস্টার, ব্যানার আর ফেস্টুনে ছেঁয়ে যায় সর্বত্র। নির্বাচন উপভোগ করতে দিনব্যাপী উপজেলা চত্বরে আনাগোনা ছিল সাংবাদিকসহ স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীদের।