বজ্রপাতে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা, অধিকাংশই কৃষক ও শ্রমিক

Looks like you've blocked notifications!

দেশে বজ্রপাতে প্রতিবছর নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। ২০১৮ সালে ৪৪৯ জন বজ্রপাতে মারা গেছেন। নিহতদের অধিকাংশই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর।

গতকাল রোববার ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) তাদের পরিসংখ্যানে এসব তথ্য তুলে ধরেছে। রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি আয়োজিত ‘বজ্রপাতজনিত ভয়াবহতা মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য দেওয়া হয়। বার্তা সংস্থা ইউএনবি ওই তথ্য জানিয়েছে।

আইডিইবির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বজ্রপাতে ২০১৫ সালে ২৭৪ জন মারা যান। ২০১৬ সালে সংখ্যাটা ছিল ৩৮৭ জন। ২০১৭ সালে ৩৭২ জন মারা যান। গত বছর একই কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪৯ জন।

নিহতদের মধ্যে প্রান্তিক কৃষক ৩৪ ভাগ, নির্মাণ শ্রমিক ২৬ ভাগ, পথচারী ৯ ভাগ, সামরিক কাজ ও বার্জে চার ভাগ করে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ২৩ ভাগ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন।

বিষয়ের ওপর পৃথক দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিইবির রিসার্চ ফেলো মো. ইয়াকুব হোসেন শিকদার ও মো. মনির হোসেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ও বিকাশমান অর্থনৈতিক অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের বহুমাত্রিক ব্যবহারের কারণে আশঙ্কাজনক হারে ঘটছে প্রাণহানি।’

উত্থাপিত প্রবন্ধে বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ২২টি সুপারিশ করা হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হাওর অঞ্চলে সুরক্ষা জোন তৈরি করা, বিদ্যুতের এইচপিসি পোল, কাঠের খুঁটি, ইস্পাত টাওয়ার ইত্যাদিতে আর্থিং করার সময় অবশ্যই ডাউন কন্ডাক্টর/ আর্থ কন্টিনিউটি ওয়্যার ব্যবহার করা, বজ্রপাত সম্পর্কিত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা।   

আলোচনা সভায় আইডিইবির সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সঞ্চালনায় অতিথি আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকরা। স্বাগত বক্তব্য দেন আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান।