মৃত্যুর ২৩ দিন পর খুলনার ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন
খুলনার ব্যবসায়ী এমদাদুল হক লিপনের মৃত্যুর ২৩ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় খুলনার টুটপাড়া কবরস্থান থেকে তাঁর লাশ তোলা হয়।
এ সময় খুলনার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) নাজিম উদ্দিনসহ আটজন উপস্থিত ছিলেন।
লাশ তোলার পর ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উপপরিদর্শক নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘লাশ আমরা দেখিনি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাতে পারব। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর প্রকৃত কারণ আমরা জানাতে পারব না। এর আগে ভিকটিমের ভাই পুলিশকে না জানিয়ে লাশ দাফন করেছিলেন। ডুবরির লাশ তোলার বিষয়ও আমরা পরে জেনেছি।’
অন্যদিকে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘সরকারি নির্দেশে আমি লাশ তুলতে এসেছি। লাশটি এখনকার বাসিন্দা এমদাদুল হক লিপনের। মূলত এটি একটি হত্যা মামলা। সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য লাশটি তোলা হয়েছে।’
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদালতে দেওয়া হবে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেন।
ইন্টারটেক ইন্টারন্যাশনালের সাবেক কান্ট্রি প্রধান এমদাদুল হক লিপনের রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় নারায়ণগঞ্জে। তিনি খুলনা শহরের টুটপাড়ার মৃত গাজী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
ব্যবসায়িক বন্ধুদের সঙ্গে লিপন গত ১৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে বেড়াতে গিয়েছিলেন। পরে বন্ধুরা তাঁর পরিবারকে জানায়, রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহরের কাছে ৩০০ ফিট রাস্তার পাশের ডোবার পানিতে গাড়িসহ ডুবে লিপন মারা গেছেন। পরে তাঁর লাশ খুলনায় এনে দাফনও করা হয়। কিন্তু পরে লিপনের স্ত্রীর অসংলগ্ন কথাবার্তায় সবার সন্দেহ হয়।
এরপর নিহতের বড় ভাই এনামুল হক গত ১৮ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন নিহত লিপনের বন্ধু এহতেশাম কবীর জুন, মঞ্জুর মোর্শেদ ও ইঞ্জিনিয়ার মাসুম। মামলার এজাহারে স্ত্রীকেও সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে।