আবরার হত্যার অভিযোগে বুয়েট ছাত্রলীগের ১১ জনকে বহিষ্কার
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১১ জনকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। আজ সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির নিকট প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ১১ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো।
বহিষ্কার হওয়া নেতারা হলেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপদপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, সদস্য মুনতাসির আল জেমি, এহতেসামুল রাব্বি তানিম ও মুজাহিদুর রহমান।
আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় এর আগে বুয়েট ছাত্রলীগের ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলা করেন তাঁর বাবা বরকত উল্লাহ।
বরকত উল্লাহ জানান, ছেলে হত্যার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আবরার ফাহাদের মরদেহ বুয়েটে নেওয়া হয়েছে। সেখানে জানাজা শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায় নেওয়া হবে।
এদিকে আবরার হত্যায় এ পর্যন্ত নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে ১৪ জনকে শনাক্ত করেছে তারা।
আবরার ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের লেভেল ২-এর টার্ম ১-এর ছাত্র ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে। কুষ্টিয়া জেলা স্কুলে তিনি স্কুলজীবন শেষ করে নটর ডেম কলেজে পড়েন।
গতকাল রোববার রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরার ফাহাদকে ডেকে এনে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।