সম্রাট এখন হাসপাতালে

Looks like you've blocked notifications!

সদ্য বহিষ্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে সম্রাটকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জানা যায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে সকালে সম্রাটকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে ঢামেকের নতুন ভবনের তিন তলায় হৃদরোগ বিভাগে নিয়ে যেতে বলেন। পরে সেখানকার চিকিৎসকদের নির্দেশনায় তাঁকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান মাকসুদ জানিয়েছেন সম্রাটের অবস্থা সংকটাপন্ন।

সম্রাটের আইনজীবীরা তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে ব্রিফিং করবেন বলে জানানো হয়েছে।

গত রোববার ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে স্টার লাইন পরিবহনের মুনীর হোসেন চৌধুরীর বাসা থেকে সম্রাট ও তাঁর সহযোগী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে আটক করে র‌্যাব। পরে তাঁদের ঢাকায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে র‍্যাব। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে নিয়ে অভিযানে বের হয় র‍্যাব।

রাজধানীর কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে অভিযান চালায় র‌্যাবের একটি দল। সেখানে অবৈধ পিস্তল, গুলি, ক্যাঙ্গারুর দুটি চামড়া, ১৬ বোতল বিদেশি মদ, এক হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা, নির্যাতন করার জন্য বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার যন্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। একই সময় সম্রাটের মহাখালী ও শান্তিনগরের ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় র‌্যাব।

পরে কাকরাইলের নিজ কার্যালয়ে ক্যাঙ্গারুর চামড়া রাখার দায়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। র‍্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম এই আদেশ দেন। পরে সম্রাটকে কেরাণীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

এ ছাড়া মাতাল অবস্থায় গ্রেপ্তার হওয়ায় এনামুল হক আরমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতে তাঁকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়।