ঝালকাঠিতে পাঁচ ইলিশ ব্যবসায়ীকে জেল-জরিমানা

Looks like you've blocked notifications!

ঝালকাঠি শহরের মাছের বড় বাজারে আজ বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে চার মাছ ব্যবসায়ীকে তিন দিনের কারাদণ্ড ও একজনকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মৎস্য অভিযানে বাঁধা দেওয়ায় এবং জাটকা ইলিশ বিক্রির দায়ে এই দণ্ডাদেশ দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এনডিসি মো. বশির গাজী। এ সময়  জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল কৃষ্ণ ওঝা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বশির গাজী জানান, সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত শহরের কালিবাড়ী সড়কের বড় মাছের বাজারে অভিযানে যায়। এ সময় জাটকা ইলিশ বিক্রি করছিলেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে গেলে আরো কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী আদালতের কাজে বাধা দেয়। পুলিশের সহযোগিতায় মাছ ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান, ছোহরাব বেপারী, কালাম বেপারী ও আকিব বেপারীকে আটক করে তিন দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া শহিদুল ইসলাম নামের এক মাছ ব্যবসায়ীকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে আজ বুধবার থেকে টানা ২২ দিন ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। প্রকৃত জেলেরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানলেও মৌসুমি জেলেরা থেমে নেই।

সকাল থেকে মা ইলিশ রক্ষায় প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ অভিযান শুরু করেছে। অভিযানের মধ্যেও সুযোগ বুঝে নদীতে জাল ফেলছে মৌসুমি জেলেরা। সুগন্ধা নদীর দপদপিয়া পুরনো ফেরিঘাট এলাকা থেকে শুরু করে বিষখালী নদীর হদুয়া পর্যন্ত শতাধিক স্থানে জাল ফেলে মা ইলিশ ধরছে মৌসুমি জেলেরা ।

মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, আজ ৯ অক্টোবর থেকে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করার জন্য টানা ২২ দিন ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও মজুদ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময়ে নদীতে কেউ মাছ ধরতে নামলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল কৃষ্ণ ওঝা।