শিগগিরই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অভিযান : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি : এনটিভি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘শিগগিরই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে অভিযান চালানো হবে। হলে শুধু ছাত্ররাই থাকবে। কোনো সন্ত্রাসীর স্থান  হবে না।’ আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড, চলমান শুদ্ধি অভিযান নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে অভিযান পরিচালনা করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই এটা করা হবে। সারা দেশের কলেজগুলোর হলগুলোতেও অভিযান চালানো হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী গতকাল সংবাদ সম্মেলনে অত্যন্ত শক্ত ভাষায় বলেছেন, সন্ত্রাসীরা যে দলেরই হোক ছাড় পাবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। শিক্ষাঙ্গনে কোনোভাবেই অরাজকতা কাম্য নয়। যারা অরাজকতা সৃষ্টি করে তাদের কোনো দল নেই।’

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা এ নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। আমরা প্রত্যেকটি ছাত্রাবাস তল্লাশির আওতায় আনব। হলে কোনো সন্ত্রাসীকে বসবাস করতে দেওয়া হবে না।’

আবরার হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহাকে মামলার এজাহারে উল্লেখ না করার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সে ধরা পড়েছে, এটাই আমাদের কাছে এখন মুখ্য বিষয়। মামলার এজারের বাইরেও কিন্তু পুলিশ যাদের সম্পৃক্ততা পাচ্ছে তাদের ধরছে। অমিত সাহা কিংবা যে কেউ হোক আমাদের কাছে তা ফ্যাক্টর নয়, আমাদের কাছে ফ্যাক্টর সে অপরাধী কি না, সে অপরাধী হলেই আমরা ধরছি।’

বিভিন্ন ক্লাবে ও হলে টর্চার সেলের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কিছুই বাদ রাখব না। যত ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড হয়, সেটা যেখানেই হোক আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে র‌্যাগিং কালচার নিষিদ্ধ করার চিন্তা-ভাবনা আছে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এ ধরনের একটি কালচারের কথা শুনে আসছি। এটি খুব বেশি রকমভাবে বুয়েট, জাহাঙ্গীরনগর ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওভাবে নেই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত।

চলমান শুদ্ধি অভিযান কতদিন চলবে বা অন্য ইস্যুর আড়ালে এটা ঢাকা পড়ে যাবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠাই আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য। এতে আমরা আমাদের দলের নেতাকর্মীদের ছাড় দিচ্ছি না। আমাদের কাছে দলের চেয়ে দেশ ও মানুষের স্বার্থই বড়। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও মাদক নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলবে। অপরাধীরা কেউ ছাড় পাবে না।