সম্রাট চিকিৎসা পেলেও খালেদা জিয়া পাচ্ছেন না : মওদুদ

Looks like you've blocked notifications!
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। ছবি : এনটিভি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) কারান্তরীণ হওয়ার পরে এক বছর দুই মাস ধরে আমরা দাবি করার পর তাঁকে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। অথচ যুবলীগের সম্রাট কারাগারে যাওয়ার দুদিন পরই তাঁকে ভিআইপি মর্যাদায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যার প্রতিবাদ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এ কথা বলেন মওদুদ। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

এ সময় মওদুদ বলেন, ‘আজ কী বলে শুরু করব, ভাষা নেই। গত ১০ বছরে ছাত্রলীগ-যুবলীগের তাণ্ডবলীলা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এরা অন্যায়ভাবে শত শত কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। ৮৬ কোটি টাকা টেন্ডারবাজির অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে অপসারণ করা হয়েছে। এদের কর্মকাণ্ড শেষ হওয়ার পরই আমরা দেখতে পেলাম যুবলীগের তাণ্ডবলীলা। এতে করে বোঝা যায়, বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে কোনো সরকার নেই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন ভারত সফরে গেলেন, আমরা অত্যন্ত আশাবাদী ছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম, অন্তত তিনি তিস্তা নদীর পানির ব্যাপারে একটি সমঝোতার খবর নিয়ে আসবেন। আজ ১০ বছর এই সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় আছে, তারপরও আমাদের ন্যায্য হিস্যা তিস্তা নদীর পানি তিনি অর্জন করতে পারেননি।’

ব্যারিস্টার মওদুদ আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভারতকে ফেনী নদীর পানি দিয়ে আসলেন, অথচ কোনো জাতীয় স্বার্থ পূরণ করেননি। শুধু তাই নয়, আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করেছি, এরপরও প্রধানমন্ত্রী কীভাবে বলেন যে, আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে দিইনি? বাংলাদেশের মানুষ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরো বলেন, ‘আবরার হত্যার বিচার, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ হচ্ছে রাজপথ। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই এ সরকারকে হটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবেই আমরা সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দেখতে পাব।’

এ সময় বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদের মৃত্যুর দিনকে ‘শহীদ আবরার দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান মওদুদ।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও পেশাজীবী নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কুদ্দুস, সাংবাদিক নেতা এম আবদুল্লাহ, কাদের গনি চৌধুরী, বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, কৃষক দল নেতা মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।