দেশের মানুষের পক্ষে স্ট্যাটাস দেওয়ায় আবরার খুন : খন্দকার মাহবুব

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন আজ শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন। ছবি : এনটিভি

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জন্য আববার ফাহাদ খুন হয়েছে। ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা। এভাবে শত শত মা-বোনের বুক খালি করেছে তারা।

আজ শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন খন্দকার মাহবুব। দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক একে এম শফিকুল ইসলাম।

সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগাঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন প্রমুখ।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করে মানুষের ভোটের অধিকার বঞ্চিত করে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এখন সারা দেশে দেশে চলছে হত্যা, গুম ও খুন নির্যাতন। আওয়ামী লীগের সোনার ছেলেরা সারা বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টর্চার সেলে পরিণত করেছে। তারই পরিণাম আবরার ফাহাদ হত্যা। এভাবে সারা বাংলাদেশে শত শত মা বোনদের বুক খালি করা হয়েছে।

এর আগে আবরার ফাহাদের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন ও দোয়া করা হয়।

গত রোববার রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পরের দিন ৭ অক্টোবর আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। সেই রাতেই বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১১ জনকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আজ শনিবার পর্যন্ত মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর  পুলিশ (ডিএমপি)। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় প্রথম ঢাকা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মামলার ৫ নম্বর আসামি বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল।

গতকাল শুক্রবার জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার ৭ নম্বর আসামি বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন।

আজ শনিবার জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার ৩ নম্বর আসামি ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার। এ চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে দেওয়া হয়েছে।