ফেনী নদীর পানি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ‘আমাদের মন অনেক বড়’

Looks like you've blocked notifications!
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের মন অনেক বড় বলে ফেনী নদী থেকে ভারতকে পানি নিতে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, ‘ভারতকে আমরা খাবার পানি দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার হচ্ছে। মাত্র ছয় হাজার লোকের একটি শহরে আমরা খাবার পানি দিচ্ছি। এ পানি দেওয়ার মাধ্যমে আমরা ভারতকে বোঝালাম যে আমাদের মন অনেক বড়। সেই সাথে তাদের দায়বদ্ধতার মধ্যে রাখলাম।’

আজ শনিবার দুপুরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

গ্যাস রপ্তানি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে দেশের গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে না। বরং বিদেশ থেকে গ্যাস কিনে সেটি রূপান্তর (এলপিজি সিলিন্ডার) করে ভারতের কাছে বিক্রি করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের জন্য সুখবর। নতুন একটি বাজার আমরা পেয়েছি।’

সীমান্তে হত্যাকাণ্ড উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে দাবি করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘এখন যারা মারা যাচ্ছেন তাদের অধিকাংশই চোরাচালানে জড়িত। সীমান্ত হত্যা বিষয়ে ঢালাওভাবে ভারতকে দোষারোপ না করে নিজেদের দায়িত্বশীল হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘২০০৩ সালে ১৬৬ জন মানুষ সীমান্তে মারা গেছেন। কিন্তু গত বছর মারা গেছেন মাত্র ৩-৪ জন। যারা মারা গেছেন তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন কিংবা চুরি করতে গেছেন। অবৈধভাবে প্রবেশ করা বন্ধ হলে সীমান্তে হত্যাও বন্ধ হবে।’

পরে বিকালে সিলেট নগরীর মিরের ময়দানে ব্লেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন। এ সময় তিনি  বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মকেই দায়িত্ব নিতে হবে সোনার বাংলা গড়ার। আমাদের এ শিশুরা যদি সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব। এ জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।’

সদর উপজেলার এক হাজার ৮৮৮ চা শ্রমিকদের মধ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অনুদানের চেক বিতরণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই সাথে উপজেলার সাতটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংস্থাসহ কয়েকটি সংস্থার মধ্যেও অনুদানের চেক বিতরণ করেন তিনি। চা শ্রমিকদের প্রত্যেকে ৫ হাজার টাকা করে সর্বমোট ৯৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।