‘বন্দুক-পুলিশ দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দ্রুত ক্ষমতা ছাড়তে বলেছেন ড. কামাল হোসেন। বন্দুক-পুলিশ দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন ড. কামাল হোসেন। পরে শোক র্যালি বের করলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেই বাধা দেয় পুলিশ। এরই পরিপেক্ষিতে আগামী ২২ অক্টোবর রাজধানীতে প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দেয় ঐক্যফ্রন্ট।
এর আগে আবরার হত্যার প্রতিবাদে ১৮ অক্টোবর শোকসভার ঘোষণা দেয় ফ্রন্ট।
জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আবরার হত্যার মাধ্যমে মানুষের মৌলিক অধিকারে আঘাত করা হয়েছে, যা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। নেতারা বলেন, ‘এর মাধ্যমে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বও।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সংবিধানে যেটা আছে, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতার নেতৃত্ব যারা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুসহ সবাই স্বাক্ষর করেছেন, সেখানে যে অধিকার আমাদের দেওয়া হয়েছে; সেগুলো আপনাকে দ্রুত মানতে হবে। আপনি সরে দাঁড়ান। দেশে প্রতিদিন যে ক্ষতি হচ্ছে তা থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে সরতে হবে।’
জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘আবরারকে যারা হত্যা করেছিল তাদের একজনকে জেলে পাঠানোর পর কয়েদিরা তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। এটা দেখে সারা বাংলাদেশে যদি দুরমুজ বাহিনী গঠিত হয় আমি আশ্চর্য হব না।’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষ বিক্ষুব্ধ। কোনো মানুষের জীবনের নিশ্চয়তা নেই।’
নাগরিক ঐক্যের প্রধান মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আগামী ১৮ তারিখ ঢাকা মহানগরের প্রকাশ্য কোনো জায়গায় জাতীয়ভাবে, কেন্দ্রীয়ভাবে আবরারের মৃত্যুতে শোকসভা হবে। এটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হতে পারে, শহীদ মিনার হতে পারে। ওরা পারমিশন দিতে চাইবে না। আমরা বেয়াদব লোক নই। আমরা পারমিশন চাইব। যদি করতে না দেয়, তাহলে ওরা বেয়াদবি করছে আমাদের সাথে। বেয়াদবদেরও জবাব দিতে হবে।’
ধাপে ধাপে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।