এ পর্যন্ত ৯ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে : মেনন

Looks like you've blocked notifications!
গাজীপুরে ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সম্মেলনে রাশেদ খান মেনন এমপি। ছবি : এনটিভি

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, ‘যারা ক্যাসিনো চালায় তারা ঋণখেলাপি। তারা দলে অনুপ্রবেশকারী। এরা দলে আসে ক্ষমতার মধু চাটার জন্য। তারা ক্যাসিনো চালিয়ে শত শত কোটি টাকা কামাই করে এবং খেলাপি ঋণের টাকা বিদেশে পাঠিয়ে সেকেন্ড হোম বানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। এদের ছাড়বেন না। এদের শিকড় অনেক গভীরে। এরা অনুপ্রবেশকারী হয়েও ক্ষমতা পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।’

সোমবার দুপুরে গাজীপুর শহরের বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির গাজীপুর জেলা শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেনন এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান মেনন আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। কিন্তু তাঁর উন্নয়নে সুফল গুটিকয়েক লোকের হাতে চলে যাচ্ছে। শতকরা মাত্র পাঁচজন লোক উন্নয়নের সুবিধা পাচ্ছে। আমার জানামতে এ পর্যন্ত নয় লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সাবেক অর্থমন্ত্রীও স্বীকার করেছেন যে, পাঁচ লাখ পঁচিশ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে যা দিয়ে দেশের একটি বাজেট তৈরি করা যায়।’

দলের জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, গাজীপুর মহানগর শ্রমিকলীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ, জাসদ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রানা, গণতান্ত্রিক পার্টির জেলার সভাপতি মনোজ কুমার গোস্বামী প্রমুখ।

রাশেদ খান মেনন বলেন, “সময় এসেছে স্বাধীন বাংলাদেশে ‘কেউ খাবে তো কেউ খাবে না’ তা হতে দেওয়া যাবে না। আমাদের মধ্যকার বৈষম্য কমাতে হবে। নারী-পুরুষের ও শোষক-শোষিতের বৈষম্য কমিয়ে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানবিক সমতা বিধান করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন  এবং আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।”

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন আরো বলেন, ‘রাজনীতিকে আজ দুর্বৃত্তায়ন করা হচ্ছে। অনুপ্রবেশকারীরা রাজনীতিতে ঢুকে পড়ছে। পার্লামেন্টে বড়লোক ও ব্যবসায়ী-মিল মালিকদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ উঠে দাঁড়িয়েছে, আরো দাঁড়াতে হবে। আমাদের আরো এগিয়ে যেতে হবে।’

তরুণ সমাজের উদ্দেশে মেনন বলেন, ‘আমাদের জেগে উঠতে হবে নীতি-আদর্শ ও আন্তরিকতার ওপর ভর করে। আমাদের গৌরবের ইতিহাস আছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে সব ধরনের শোষণ-বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে। মেহনতি মানুষের অধিকার আদায় করতে হবে।