বীভৎসভাবে শিশু হত্যায় মামলা, বাবা-চাচাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

Looks like you've blocked notifications!

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে বীভৎসভাবে হত্যার ঘটনায় তার মা মনিরা বেগম বাদী হয়ে গতকাল সোমবার রাতে ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। দিরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ বলছে, তুহিনের বাবা আবদুল বাছির ও তাঁর চাচাসহ পরিবারের সাতজনকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁদের কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো বা ছেড়ে দেওয়া হয়নি। আরো জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে সোমবার রাতেই তুহিনের ময়নাতদন্ত শেষে তাকে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামের দাফন করা হয়েছে। গতকাল রাতে সবশেষ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, এ হত্যার ঘটনার সঙ্গে শিশু তুহিনের পরিবারের সদস্যরা জড়িত। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত কিছু জানায়নি পুলিশ।

দিরাই উপজেলায় তুহিন নামের পাঁচ বছরের এক শিশুকে পাশবিক নির্যাতন করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শিশুটির লিঙ্গ ও কান কেটে, পেটে ছুরি মেরে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে লাশ গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামের বাসিন্দারা শিশু তুহিনের লাশ গাছে ঝুলতে দেখে পুলিশের খবর দেয়। নিহত তুহিন গ্রামের আবদুল বাছিরের ছেলে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষ হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড এর আগে কেউ দেখেনি।

ঘটনার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত শিশু তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, চাচা আবদুল মছব্বির, জমশেদ মিয়া, নাছির ও জাকিরুল, তুহিনের চাচি ও চাচাতো বোনকে থানায় নিয়ে আসা হয়। থানায় প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে পরিবারের তিন সদস্য হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানায় পুলিশ।