অনিক কারাগারে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হননি : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

Looks like you've blocked notifications!
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি অনিক সরকার (গোলচিহ্নিত)। পুরোনো ছবি : স্টার মেইল

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার গ্রেপ্তারকৃত আসামি অনিক সরকার কারাগারে কারো দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত বা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হননি বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিক সরকারকে নিয়ে দুটি দৈনিক পত্রিকায় ‘কারাগারে অনিককে পেটাল আসামিরা’ এবং ‘কারাগারে পিটুনির শিকার অনিক’ শিরোনামে প্রকাশিত খবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় ও কারা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশার বক্তব্য হলো, গ্রেপ্তার হওয়ার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছালে অনিক সরকারকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কারা সেলে রাখা হয়। কারা অভ্যন্তরে প্রবেশের পর অনিক সরকার কারারক্ষী বা কারাবন্দি কারো দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত বা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হননি। সুতরাং মিডিয়াতে প্রচারিত এ সংবাদটি সত্য নয়।

বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার (২২) আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি। আবরারকে পিটিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে গত ১২ অক্টোবর শনিবার তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এরপর সন্ধ্যায় তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। তখন কারাগারের বন্দিরা আবরার ফাহাদের মতো মেধাবী ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যায় ক্ষুব্ধ হয়ে অনিক সরকারকে পেটান বলে ওই দুটি পত্রিকার খবরে বলা হয়। 

অনিক সরকার রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বড়ইকুড়ি গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন ও শাহিদা বেগমের ছেলে। তিনি বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ছাত্র। পড়েন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষে। আবরার ফাহাদ হত্যার পরের দিন ৭ অক্টোবর তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন ৮ অক্টোবর তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। সেই রিমান্ড শেষ হওয়ার এক দিন আগেই ১২ অক্টোবর তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।