আবরার ফাহাদ হত্যা

ছাত্রলীগ নেতা মনিরের স্বীকারোক্তি, রাফাত ফের রিমান্ডে

Looks like you've blocked notifications!
বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি মো. মনিরুজ্জামান মনির (ডানে), শামসুল আরেফিন রাফাত (মধ্যে) ও মো. আকাশ হোসেনকে (বাঁয়ে) গত ৯ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। ছবি : ফোকাস বাংলা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি মো. মনিরুজ্জামান মনির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া আরেক আসামি শামসুল আরেফিন রাফাতের চার দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনসারির খাসকামড়ায় জবানবন্দি দেন মামলার ৬ নম্বর আসামি ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির।

এরপর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি শামসুল আরেফিন রাফাতকে সাত দিনের রিমান্ড ও মো. আকাশকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আসামি রাফাতকে ফের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং আসামি আকাশকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামি মনির শেরেবাংলা হলের ছাত্র। তিনি ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ভাংগাড়ীপাড়ার মো. মাহতাব আলী ও এলিজা বেগমের ছেলে। রিমান্ডে পাঠানো আসামি রাফাত মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পরের দিন ৭ অক্টোবর আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১২ জনকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে আজকে ১৫ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি এ এস এম নাজমুস সাদাতকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। মামলার এজাহারে তাঁর ঠিকানা ও বাবা-মায়ের নাম অজ্ঞাত লেখা আছে। তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচ ও শেরেবাংলা হলের ছাত্র।

এদিকে আবরার হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এর আগে আরো পাঁচজন জবানবন্দি দিয়েছেন। এঁরা হলেন মামলার ৫ নম্বর আসামি বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ৭ নম্বর আসামি ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ৩ নম্বর আসামি ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার , ৯ নম্বর আসামি মুজাহিদুর রহমান ও ৪ নম্বর আসামি মেহেদী হাসান রবিন।